জুমবাংলা ডেস্ক : রাজশাহী মহানগরীর তেরখাদিয়া এলাকায় আয়েশা জান্নাত নদী (২১) নামের এক কলেজছাত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (২৩ জানুয়ারি) পুলিশ গলায় ফাঁস দেওয়া ওই নারীর লাশ উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় মৃত নদীর স্বামী রাকিবুল হাসিব সজিবকে আটক করা হয়েছে।
এদিকে মৃত নদীর মা আঞ্জুয়ারা বেগমের দাবি, তার মেয়েকে বালিশচাপা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেছেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। তিনি জানান, মাত্র দেড় বছর আগে নওগাঁর সান্তাহার এলাকার সারোয়ার হোসেনের ছেলে সজিবের সঙ্গে বিয়ে হয় নদীর।
বিয়ের সময় নদীর শর্ত ছিলো সে লেখাপড়া করবে। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই তার স্বামী সজিব লেখাপড়ায় বাধা দেয় স্বামী। শুরু করে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। একপর্যায়ে ছয় মাস আগে রাগ করে মায়ের বাড়ি চলে আসে নদী। এর পর আবারও বুঝিয়ে নদীকে শ্বশুরবাড়িতে পাঠানো হয়।
নদীর মা আঞ্জুয়ারা বেগম আরও জানান, মাত্র সাত বছর বয়সে নদী বাবা হারান। এর পর গোলাম মোস্তফাকে তিনি বিয়ে করেন। নদী তাদের সঙ্গেই থাকতো। কিন্তু গরিবের সংসার। তিনি সামান্য বেতনের আয়ার চাকরি করেন। এ কারণে নদী টিউশনি করে নিজের লেখাপড়ার খরচ চালাতো।
সে রাজশাহী মহিলা কলেজে বাংলায় অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। স্বপ্ন ছিলো লেখাপড়া শেষ করে শিক্ষক হবেন। কিন্তু তার আগেই তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করলো। তার গলাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
এ ব্যাপারে নগরীর রাজপাড়া থানার এসএম ওসি সিদ্দিকুর রহমান জানান, কলেজছাত্রী নদীর মৃত্যুর ঘটনায় আত্মহত্যায় প্ররোচণার অভিযোগে তার সৎ বাবা গোলাম মোস্তফা মামলা করেছেন। প্রাথমিক তদন্তে সজিবের বিরুদ্ধে নদীর ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ কারণে সজিবকে দায়েরকৃত মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নদীর লাশ ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরেই তার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ সম্পর্কে জানা যাবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।