যখন আর্টিকেল এ এমন হেডলাইন ব্যবহার করা হয় যা পাঠকদের ক্লিক করতে প্রলুব্ধ করে কিন্তু ভেতরে প্রতিশ্রুত কোন বর্ণনা নেই তখন তাকে ক্লিকবেট (Clickbait) বলে। বডির মধ্যে এমন লিংক থাকতে পারে যা পাঠকদের লিংক এ ক্লিক করতে বলা হয় যদিও ভেতরে আশানুরূপ কন্টেন্ট পাওয়া যায় না। এটাও ক্লিকবেটের অন্তর্গত।
সাধারণত এসব শিরোনাম ও লিংকগুলি অতিরঞ্জিত থাকে তবে মূল বক্তব্য একেবারে সাদামাটা। বাস্তবে এমন অতিরঞ্জিত কিছুই ঘটেনি। পাঠকদের মনযোগ আকর্ষণ করা ও প্রলুব্ধ করাই এটি ব্যবহারের উদ্দেশ্য হয়ে থাকে। পাঠক যখন ভেতরে গিয়ে দেখে যে, তেমন কোন বর্ণনা নেই তখন সে বিরক্ত হয়।
কিছু উদাহরণ দেখুন:
- আপনি কখনই বিশ্বাস করবেন না
ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব, হলিউড তারকা এবং রাজনীতিবিদদের নিয়ে অতিরঞ্জিত নিউজ করার ক্ষেত্রে এ ধরনের টাইটেল ব্যবহার করা হয়।
- Xটি বিষয় যা আপনার জানা দরকার (X মানে যেকোন সংখ্যা হতে পারে)
অর্থ উপার্জন, স্বাস্থ্যগত টিপস, সেলিব্রেটি বা ক্রীড়া সংক্রান্ত নানা বিষয়ে এরকম শিরোনাম ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তবে বডিতে অনেক সময় গুরুত্বপূর্ণ টিপস এর উপস্থিতি থাকে না যদিও টাইটেলে তা প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়।
- বিভিন্ন বিষয়ে টিপস ও কৌশল
মাঝে মধ্যে অদ্ভুত স্টাইলে টিপস ও কৌশলের কথা আর্টিকেল এ ব্যবহার করা হয়। ডায়েট না করে ওজন কমানোর কথা উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে। যদিও এসব টিপস বাস্তবসম্মত নয় ও অনেক্ষেত্রে তা উপকারীও নয়। যদিও টাইটেল এ চমকপ্রদ তথ্য উপস্থাপন করা হয়।
ক্লিকবেটের ক্ষতিকর দিক
ফেসবুক অথোরিটি মনে করে, ক্লিকবেটের ফলে অর্থপূর্ণ যোগাযোগ ব্যবস্থায় বিঘ্নতা তৈরি হয়। পাঠক যতক্ষণ একটি আর্টিকেল পড়বে তার মূল্যবান সময় যেনো নষ্ট না হয় সেটা ফেসবুক নিশ্চিত করতে পরামর্শ দেয়। অতিরিক্ত লাইক, কমেন্ট ও শেয়ারের জন্য অনেকেই ক্লিকবেটের আশ্রয় নেয় যা সোশাল মিডিয়া কমিউনিটিকে ক্ষতিগ্রস্থ করে ও পাঠক এতে বিরক্ত হয়। অনেক সময় ভুল তথ্য দিয়ে পাঠককে বিভ্রান্ত করা হয়।
ফেবুকে এ ধরনের ক্লিকবেটের আশ্রয় নেওয়া হলে অথোরিটি রেস্ট্রিকশন করে দিতে পারে ও ঐ পোস্ট যেনো খুব কম মানুষ পর্যন্ত পৌঁছায় সেটাও নিশ্চিত করবে।
যা করণীয়
- আর্টিকেল এর হেডলাইন ও বডির বর্ণনার মধ্যে সামঞ্চস্য থাকতে হবে।
- আর্টিকেল এর হেডলাইন ও বডির প্রত্যেকটি কথা যেনো সত্য হয় তা নিশ্চিত করতে হবে।
- পাঠককে কৌতুহলী করার জন্য বিভ্রান্তিকর তথ্যের উপর নির্ভর করা যাবে না ও মিথ্যা তথ্য দেওয়া যাবে না।
যা এড়িয়ে চলা উচিত
- টাইটেল পড়ে যে প্রশ্ন মনে আসে তার উত্তর যদি বডির বর্ণনায় স্পষ্ট না আসে তাহলে ঐ টাইটেল পরিবর্তন করা উচিত। অতিরঞ্জিত কোন কিছু হেডলাইনে থাকা যাবে না।
- “আপেল আসলে আপনার জন্য খারাপ?” ; এ ধরনের চাঞ্চল্যকর বিষয়বস্তু তুলে ধরলে পাঠক বিভ্রান্ত হবে। কেননা দিনে একাধিক আপেল খেলে পাঠকের কোন স্বাস্থ্যজনিত সমস্যা হবে না। পাঠককে বিভ্রান্ত করা যাবে না।
সাধারণত মার্কেটিং এর সাথে সম্পর্কিত কর্মীরা এ ধরনের অতিরঞ্জিত টাইটেল ও লিংক ব্যবহার করেন। ফেসবুক অথোরিটি ও গুগল মনে করে পাঠক ও পাবলিশারের মধ্যে আস্থার সম্পর্ক তৈরি হওয়া উচিত। সততার পথ অবলম্বন করা উচিত। সীমারেখা ছাড়িয়ে যাওয়া অনুচিত কাজ। ক্লিকবেটের কারণে সততা বাঁধাগ্রস্থ হয়, নৈতিকতার অবক্ষয় হয়, পাবলিশারের উপর আস্থা থাকে না। ব্যবসায়ীদের কোয়ালিটি সম্পন্ন কন্টেন্ট ও সততার পথ অবলম্বনে কাস্টোমারদের আস্থা অর্জন করাকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।