জুমবাংলা ডেস্ক : বিচার বিভাগীয় ব্যবস্থা সমাজের অপরাধীদের কারাগারে সাজা দেয়। এই সময় বন্দীদের থাকা খাওয়ার জন্য অনেক কঠোর নিয়ম মেনে চলতে হয়। আপনার নিশ্চয় অনেক মুভিতে দেখেছেন জেলের কয়েদিদের একই রকম পোশাক দেওয়া হয়। কারাগারে বন্দীদের সাদা পোশাক এবং কালো ডোরাকাটা। কিন্তু এর পেছনের কারণ কি? বন্দীদের জন্য কেন এই পোশাক বেছে নেওয়া হলো? এবার জেনে নেওয়া যাক..
জানা যায়, ১৮ শতকে আমেরিকায় অবার্ণ সিস্টেম চালু হয়েছিল। এই নিয়মের আওতায় কারাগার ও সেখানে বন্দীদের জীবনযাপনের কিছু নতুন নিয়ম সংযোজন করা হয়। এরপরই আধুনিক কারাগার চালু হয়। এই পরিবর্তনের অধীনে বন্দীদের ধূসর ও কালো রঙের পোশাক দেওয়া হয়েছিল, যার উপর স্ট্রাইপ তৈরি করা হয়। আসলে যদি কোন বন্দী জেল থেকে পালিয়ে যায়, তবে এই পোশাক তাকে ধরতে সাহায্য করবে।
পোশাকটি এভাবে তৈরি করার যুক্তি হলো বাইরের লোকজন এই ধরনের পোশাক পরে না। এর ফলশ্রুতিতে মানুষ পলাতক বন্দীকে দেখলে পুলিশকে খবর দেবে এবং সে ধরা পড়বে। এছাড়া ধূসর কালো ডোরাকাটা পোশাকটি লজ্জার প্রতীক হিসেবেও পরিচিত। যাতে অপরাধীরা তাদের অপরাধের জন্য অনুতপ্ত হতে পারে। যদিও মানবাধিকারের বিষয়টি মাথায় রেখে পরবর্তী সময় লজ্জার প্রতীকটি সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল।
কিন্তু ১৯ শতকে পোশাকটির পরিবর্তন করা হয়। সাদা এবং কালো ডোরাকাটা করা হয়। আসলে সাদা রঙের পোশাক দেওয়ার পেছনে আরেকটি কারণ বলা হয় যে এই রঙে তাপ কম লাগে। ফলে গরমের দিনগুলিতে বন্দীদের তেমন সমস্যা হয় না। এছাড়া দূর থেকে সাদা রঙ দেখা যায়। এমনকি বন্দীরা জেল থেকে পালিয়ে গেলে রাত্রিবেলাতেও দূর থেকে দেখা যায়।
তবে এমন নয় যে, সারা বিশ্বের কারাগারে বন্দীদের জন্য একই ধরনের বা রঙের পোশাক রয়েছে। প্রতিটি দেশের বন্দীদের জন্য আলাদা পোশাক কোড রয়েছে। আমরা যদি ভারতীয় কারাগারের কয়েদিদের কথা বলি, তাহলে সেই ব্রিটিশ আমল থেকে আজ অব্দি এই ধরনের পোশাকের ধারা চলে আসছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।