স্পোর্টস ডেস্ক: গত ২০ বছরে দক্ষিণ আফ্রিকার মাঠে টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলে কোনো ফরম্যাটেই জয় পায়নি বাংলাশে। এবারের সফরে আফ্রিকায় প্রথম জয়ের পাশাপাশি সিরিজ জয়েরও ইতিহাস গড়ল টাইগাররা।
সিরিজ জিতে ফেরার পর ড্রেসিংরুমের সিঁড়িতে অধিনায়ক তামিম ইকবালকে জড়িয়ে ধরেন প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। লিটন দাসকে আলিঙ্গন করে অনেকক্ষণ কথা বলেন তিনি। হোটেলে ফেরার সময় তুমুল উল্লাসে বাস থেকে নেমে নাচতে দেখা গেছে তাকে। তামিম জানালেন, এই সিরিজ জেতার জন্য প্রচণ্ড বিশ্বাস যুগিয়েছেন প্রধান কোচ। সিরিজ জেতার পর তিনি এখন বিশ্বকাপ জেতার বিশ্বাসও পুঁতে দিচ্ছেন।
বুধবার সেঞ্চুরিয়নে দক্ষিণ আফ্রিকাকে উড়িয়ে বাংলাদেশের সিরিজ জেতার রেশ এখনো যেন তাজা। দেশের সর্বত্র এই নিয়েই আলাপ। ওয়ানডে সিরিজ জেতার সুখস্মৃতি নিয়ে বৃহস্পতিবার ডারবানে প্রথম টেস্ট খেলতে গেছে বাংলাদেশ দল।
তার আগে ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপে জানিয়েছেন প্রধান কোচসহ বাকি কোচদের অবদান, ‘দেশে থেকে আসার সময় এটা বিশ্বাস ছিল যে জিততে পারব। সিরিজ জিততে পারব কিনা, এটা বলাটা কঠিন ছিল। তবে ম্যাচ জয়ের বিশ্বাস ছিল। তবে এটাও বলতে হয়, কোচের প্রচণ্ড বিশ্বাস ছিল যে বাংলাদেশ সিরিজটি জিতবে। তিনি ক্রমাগত বলে গেছেন এবং ক্রিকেটারদেরও সেই বিশ্বাস জোগানোর চেষ্টা করেছেন।’
শুধু তাই নয় এই সিরিজ জেতার পর সবার মনে বিশ্বকাপ জেতার বিশ্বাসও পুঁতে দিচ্ছেন তিনি, ‘কালকে রাসেল (ডমিঙ্গো) খুব ভালো একটা কথা বলেছেন। ম্যাচের পর যখন আমরা ড্রেসিং রুমে কথা বলি, তখন তিনি বলেছেন যে, “এই সিরিজ জয়ের পর যদি বিশ্বাস না করো যে, তোমরা বিশ্বকাপ জিততে পারবে, তাহলে আর কোনো কিছুতে বিশ্বাস করবে না।” খুব ভালো একটি বার্তা ছিল এটি তার কাছ থেকে।’
বাংলাদেশের প্রধান কোচ দক্ষিণ আফ্রিকান। সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত পেস বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ডও তাই। পাওয়ার হিটিং কোচ হিসেবে ওয়ানডে সিরিজে কাজ করেছেন আলভি মরকেল। তামিম জানান প্রোটিয়াদের ভেতরের খবর দিয়ে সাহায্য করেছেন এই কোচরা, ‘তারা বিরাট ভূমিকা রেখেছেন, আমার কাছে মনে হয়। সব তথ্য তারা দিয়েছেন। যতটা পারা যায়, ভাগাভাগি করেছেন আমাদের সঙ্গে। পাশাপাশি আমাকে এটাও বলতে হবে, যারা কাজ করে গেছেন আমাদের সঙ্গে, তাদেরও অবদান আছে। তাদেরকে ভুললে চলবে না। যারা কাজ করছেন এখন, তাদের তো অবদান অবশ্যই আছে।’
‘দলীয় প্রচেষ্টা মানে কোচিং স্টাফও এটার অংশ। ২৫-৩০ জনের স্কোয়াড আমরা যে আছি, সেখানে ম্যাসাজম্যান, থ্রোয়ার, সবারই অবদান আছে। ওরা নিজেদের কাজ ঠিকঠাক না করলে আমরা হয়তো ফিট থাকতাম না বা ভালোভাবে প্রস্তুত হতে পারতাম না।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।