জুমবাংলা ডেস্ক: লক্ষ্মীপুরের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে নারকেল। এ খাতে বছরে প্রায় ৪৫০ কোটি টাকা লেনদেন হয়। শিল্প বাড়ালে আয় আরও বাড়বে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। এদিকে চাষিদের সব সহযোগিতার আশ্বাস কৃষি বিভাগের। সময় নিউজের প্রতিবেদক মো. মাহবুবুল ইসলাম ভূঁঞা-এর প্রতিবেদনে উঠে এসেছে বিস্তারিত।
বাড়ির পাশে নারকেল গাছের সারি। প্রায় প্রতিটি গাছেই ভালো ফলন।
লক্ষ্মীপুরের বেশির ভাগ বাড়ির চিত্র একই। কৃষিনির্ভর এ জেলায় বেশির ভাগ মানুষের আয়ের বড় উৎস বাড়ির নারকেল গাছ। বছরে প্রত্যেক চাষি কয়েক লাখ টাকা আয় করেন। জেলার বিভিন্ন বাড়ি ও বাগানে বছরে প্রায় ছয় কোটি নারকেল পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে এক চাষি বলেন, ‘আমাদের ২০০ নারকেল গাছ রয়েছে। বছরে প্রায় ৩ থেকে ৪ লাখ টাকার মতো আয় হয়। এটি আমাদের পরিবারের একটি উপার্জনের পথ।’
চাহিদা থাকায় স্থানীয়দের পাশাপাশি বাইরের ব্যবসায়ীরাও এখান থেকে নারকেল কেনেন। এসব নারকেল খাবারের পাশাপাশি তেল উৎপাদন ও কয়েকটি শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে সরবরাহ করা হচ্ছে। কেকো ফাইবার ও কোকো ডাস্ট উৎপাদনেও গড়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি কারখানা। এতে অনেকেরই কর্মসংস্থান হয়েছে।
এদিকে নারকেলের আবাদ বাড়াতে চাষিদের সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন লক্ষ্মীপুরের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক ড. মো. জাকির হোসেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের কৃষক ভাইয়েরা যদি ডাবও বিক্রি করেন, তাহলে ওনারা লাভবান হবেন। আমরা এ ক্ষেত্রে তাদের সঙ্গে রয়েছি।’
কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, লক্ষ্মীপুরে এ বছর প্রায় ২ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে নারকেলের আবাদ হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।