শীতে ঠান্ডা ও শুষ্ক আবহাওয়া শরীরের পাশাপাশি ত্বক ও চুলের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এছাড়াও দৈনন্দিন কিছু অভ্যাসে চুল-ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যেমন-

অতিরিক্ত গরম পানি দিয়ে গোসল করা
শীতে অনেকেই অতিরিক্ত গরম পানি দিয়ে গোসল করেন। এতে ত্বকের প্রাকৃতিক লিপিড দ্রবীভূত হয় ও মাথার ত্বকে প্রদাহ সৃষ্টি করে। সেই সঙ্গে চুল শুষ্ক ও ভঙ্গুর হয়ে যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে,শীতে সুস্থ থাকতে হালকা গরম পানি দিয়ে গোসল করতে পারেন। গোসলের জন্য দশ মিনিটের বেশি সময় নেওয়া ঠিক নয়। ত্বক ভালো রাখতে গোসল থেকে বের হয়ে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
পর্যাপ্ত পানি না খাওয়া
ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে শীতে পানি পিপাসা কম অনুভূত হয়। যার ফলে পানি পানের পরিমাণ কমে যায়। অভ্যন্তরীণ পানিশূন্যতা ত্বক এবং চুলের উপর শীতের শুষ্কতার প্রভাবকে আরও জটিল করে তোলে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে বাড়িতে তো বটেই ,অফিসে আপনার ডেস্কে একটি পানির বোতল রাখুন এবং প্রতিদিন কমপক্ষে দেড় লিটার পানি পান করুন।
সানস্ক্রিন ব্যবহার না করা
শীতে হালকা রোদ কিংবা কুয়াশার কারণে অনেকেই নিয়মিত সানস্ক্রিন ব্যবহার করেন না। এটা ঠিক নয়। কারণ শীতেও সূর্যের ক্ষতিকর আলট্রাভায়োলেট রশ্মি ত্বকের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। এ কারণে শীতে সানস্ক্রিন ব্যবহারের গুরুত্ব কম নয় বরং বছরের অন্যান্য সময়ের মতোই গুরুত্বপূর্ণ।
অতিরিক্ত শীতকালীন পণ্য ব্যবহার করা
ত্বকে অতিরিক্ত ঘন করে ক্রিম ব্যবহার এবং মাথার ত্বকে বেশি মাত্রায় তেল ব্যবহার করলে অনেক সময় তা ক্ষতিকর হতে পারে। মাথার ত্বকে জমে থাকা তেল ত্বককে হাইড্রেট করার পরিবর্তে আরও শুষ্ক করে তোলে।
অতিরিক্ত এক্সফোলিয়েট করা
ত্বকের শুষ্কতা দূর করতে অনেকেই ঘন ঘন স্ক্রাব করে। এতে ত্বক আরও বেশি শুষ্ক হয়ে পড়ে। বিশেষজ্ঞদের মতে,ত্বক ভালো রাখতে ঠান্ডার সময়ে সপ্তাহে একবার বা দুবার মৃদু এক্সফোলিয়েট করেই যথেষ্ট।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।


