লাইফস্টাইল ডেস্ক: আপনার সহকর্মীদের সঙ্গে কত দিন ধরে কাজ করছেন? নিশ্চয়ই অনেকের সঙ্গে সম্পর্কটা বেশ ভালো জমিয়ে নিয়েছেন? আমেরিকার ফাস্ট কম্পানি এক গবেষণা প্রকাশ করে। তাতে বলা হয়, সাধারণ চাকরিজীবীরা তার জীবনের ৬ শতাংশ সময়ই কোনো একটি চাকরিতে কাটিয়ে দেন। এ দীর্ঘ সময়ের মধ্যে কাউকে কাছ থেকে চিনে নেওয়ার সুযোগ তো থাকেই। তাই সহজেই দু-একজন সহকর্মী কাছের বন্ধুও হয়ে ওঠেন।
তাই বলে সহকর্মীদের সঙ্গে সব বিষয় কিন্তু শেয়ার করা যায় না। সম্পর্ক বিষয়ক বিশেষজ্ঞদের মতে, সহকর্মীরা যতই কাছের হোক না কেন তাদের কাছে কয়েকটি বিষয় কখনই খোলাসা করবেন না। এগুলোর ধারণা নিন।
১. আপনার ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক দর্শন
আসলে কর্মক্ষেত্র সেই স্থান নয় যেখানে আপনি ব্যক্তিগত মতামত, চিন্তা, মতাদর্শ ইত্যাদি নিয়ে আলাপ করবেন। রাজনীতি নিয়ে হালকা আলাপ হলেও ব্যক্তিগত চিন্তা তুলে ধরার জায়গা অফিস নয়। মনে রাখবেন, সবারই ভিন্ন মতাদর্শ থাকতে পারে। সবার চিন্তাই আলাদা হতে পারে। তা ছাড়া সেখানে নিজেরটা তুলে ধরার প্রয়োজনই তো পড়ে না। সেখানে পেশাদার কাজ নিয়ে আলোচনা করুন। ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক দর্শন তুলে ধরতে গেলে বরং হিতে বিপরীত ঘটতে পারে। যদি উর্দ্ধতন কর্মকর্তা বা কর্তৃপক্ষ যদি আপনার ব্যক্তিগত মতের বিপরীতে অবস্থান করে থাকেন, তো বিপদটা আপনারই।
২. বিশেষ কোনো রোগ ও চিকিৎসা
ঠাণ্ডা-জ্বর হয়েছে? এ খবর বেশ সহজেই সহজর্মীকে দিতে পারেন। ডায়াবেটিক বা অন্য কিছু রোগ ও এর চিকিৎসা নিয়েও কথা বলতে পারেন। কিন্তু কিছু রোগবালাই এমদমই সাধারণ নয়। এগুলোর প্রকাশ ডাক্তার ছাড়া অন্য সবার কাছে লজ্জাজনক হতে পারে। এগুলো লুকিয়ে রাখাই ভালো। সহকর্মী যত কাছেরই হোক না কেন, তাদের কাছে গোপন কোনো রোগ ও তার কী চিকিৎসা নিচ্ছেন সে বিষয়ে না বলাই উচিত বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
৩. অ্যালকোহল বা অন্য কিছুতে আসক্তি
অনেক ক্ষেত্রেই অ্যালকোহল চিকিৎসার প্রয়োজনে ব্যবহৃত হতে পারে। কিন্তু যদি কোনো মাদকে আসক্তি থাকে আপনার, তবে তা দ্রুত ছেড়ে দেওয়ার চেষ্টা করুন। কিন্তু এগুলোর কথা সহকর্মীদের সঙ্গে শেয়ার করতে যাবেন না। এসব তথ্য ছড়াতে পারে এবং আপনার সুনাম ক্ষুন্ন হবে। আমাদের পরিবেশ ও সংস্কৃতিতে অ্যালকোহল গ্রহণযোগ্য নয়। আর অন্যান্য মাদক তো অবশ্যই মেনে নেওয়া যায় না। তা ছাড়া যেকোনো মাদকই কিন্তু ক্ষতিকর এবং এসব এড়িয়ে চলাই ভালো।
৪. বেতনের খবর
আসলে বেতনের খবর নিয়ে খুব বেশি লুকোচুরির কিছু নেই। কিন্তু সহকর্মীদের মাঝে অনেক ঝামেলাই ঘটতে পারে। কেউ আপনার বেতন বৃদ্ধির কারণে হিংসা করতেই পারেন। তা না হলেও কেবল বেশি বেতন পান দেখেই আপনার সঙ্গে সম্পর্কটা নষ্ট হতে পারে। আবার আপনি যদি মনে করেন, প্রতিষ্ঠান আপনাকে কম বেতন দিচ্ছে তাহলে তাও শেয়ার করার দরকার নেই সহকর্মীদের সঙ্গে।
৫. অর্থনৈতিক ও সামাজিক সমস্যা
এমন সমস্যাতে সবাই ভোগেন। কার নেই অর্থনৈতিক সমস্যা? বিশেষ করে সাধারণ চাকরিজীবী যারা, তাদের তো এ নিয় দুর্ভোগের শেষ নেই। সামাজিক নানা ভেজালেও জড়িয়ে পড়তে পারেন। কিন্তু এগুলো নিয়ে কর্মক্ষেত্রে আলোচনা না করাই ভালো। স্ত্রী-সন্তান বা বাবা-মাকে নিয়ে সংসার চালাতে কতটা জ্বালায় রয়েছেন, তা সহকর্মীদের নাই বা বললেন। এসব স্পর্শকাতর বিষয় যা নিজের মধ্যেই রাখা উচিত।
সূত্র : চিট শিট
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।