ঝড়ে পড়া লিচু কুড়িয়ে এনে বিক্রির চেষ্টা!

জুমবাংলা ডেস্ক : ঝড়-বৃষ্টির মাঝে চলছে মধুমাস। মধুমাসের শুরুর সাথে প্রতি ঘরেও শুরু হয়েছে লিচু উৎসব। চোখে পড়বে গাছের ডালের থোকায় থোকায় পাকা লিচু। বাগান মালিকরা এসময় ব্যস্ত লিচু খাচায় পুড়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পাঠানোর কাজে। কয়েকদিনের ঝড়-বৃষ্টিতেও পড়েছে লিচু।

অপরদিকে ঝড়ে পড়া লিচু সংগ্রহে ছুটছে ছোট ছোট স্বপ্ন নিয়ে শিশু-কিশোরের দল। ঝড়-বৃষ্টি ছাড়াও বাগানের ঝড়ে যাওয়া কিংবা বাছাইয়ে বাদ পড়া লিচু সংগ্রহ করে এনে প্রতিদিনই দিনাজপুর-রামসাগর সড়কের ধারে লিচুর পসরা নিয়ে বসছে স্থানীয় শিশুরা। এই দৃশ্য চোখে পড়ে লিচু খ্যাাত দিনাজপুর সদর উপজেলার মাসিমপুর এবং উলিপুর সড়কের বাস্তুলি এলাকায়।

ছোট ছোট স্বপ্ন নিয়ে বাটিতে লিচু সাজিয়ে রেখে ক্রেতার আশায় দাঁড়িয়ে বা বসে থাকে বিভিন্ন বয়সের শিশুরা। এরমধ্যে রয়েছে স্কুল পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীরাও। এ দৃশ্য দেখে মনে হবে এ যেন অন্য রকম লিচু উৎসব।
এ মৌসুমী লিচু বিক্রয়ে পিছিয়ে নেই শিশুরাও। সারা দিনের কুড়ানো লিচুতে তারাও যেন হয়ে উঠেছে ক্ষুদে ব্যবসায়ী। এ রাস্তার বিভিন্ন স্থানে দু’ধারে কম দামে লিচু পেয়ে অনেকেই তাদের কাছ থেকে লিচু কিনে নিয়ে যান।

মাসিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী রহমান ও লিটন। তারা প্রতিদিনই স্কুল শেষে বিকালে অথবা সকালে লিচু কুড়িয়ে পশরা বসায় রাস্তার ধারে। সারাদিনে বাগানে বাগানে ঘুরে ঘুরে ৩০০ থেকে ৪০০ লিচু কুড়িয়ে টিফিন বাটিতে করে বিকেলে বা সকালে রাস্তার ধারে লিচুর দোকানী হয় তারা।

বান্তুলি এলাকার শিশু আমিনুল জানায়, প্রতি বাটি কুড়িয়ে আনা লিচু ১৫ থেকে ২০ টাকায় বিক্রি করেন তারা। এসব দোকান দেয়া শিশুরা আরও জানায়, এই লিচু বিক্রি করে তারা কলম, খাতাসহ নিজের পছন্দমত জিনিস ক্রয় করে থাকে।

লিচু কিনতে আসা মোটরবাইক চালক মো. আলী আকবর জানায়, নিম্ন আয়ের মানুষরাই এখানকার বেশীর ভাগ ক্রেতা। অনেক ভালো ভালো লিচু কম দামে কিনতে পাওয়া যায়। অনেক পথচারীরাও এখান থেকে লিচু কিনে নিয়ে যায়।

লিচু নিয়ে হাঁকডাক