সাইফুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ : মানিকগঞ্জের শিবালয়ে বিয়ের দাবিতে মো: হাসান আলী নামে এক পুলিশ সদস্যের বাড়িতে তিন দিন ধরে অবস্থান নিয়েছে এক কলেজ ছাত্রী। এ ঘটনায় তুমুল আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়। প্রতিদিনই আশে-পাশের গ্রামের শত শত নারী-পুরুষ ওই মেয়েটিকে দেখার জন্য হাসানের বাড়িতে ভীড় করছে।

পুলিশ সদস্য মো: হাসান আলী উপজেলার উথুলী ইউনিয়নের ধূসর গ্রামের মৃত সাহাজ উদ্দিনের ছেলে। ওই কলেজ ছাত্রী হাসানের বাড়িতে অবস্থান নেয়ার পর থেকে হাসানের পরিবারের সবাই পলাতক রয়েছে।
ভুক্তভোগী ওই কলেজ শিক্ষার্থী জানান, দীর্ঘ চার বছর যাবৎ পুলিশ সদস্য হাসান আলীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক জড়িয়ে পড়ে সে। এসময় প্রেমের সম্পর্কের জেরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন সময় তার সাথে শারীরিক করে হাসান। গত কয়েক মাস আগে তাকে সামাজিকভাবে বিয়ের কথা বললে হাসানের মা বিয়েতে রাজি না হওয়ায় তার বাড়ি আসতে বলে। পরে উপায় না পেয়ে ওই ছাত্রী পুলিশ সদস্যের বাড়ি বিয়ের দাবিতে আসলে তার মাসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা হাসানের ছুটি নেই বলে ৪০ দিন পরে বিয়ে দেওয়া হবে বলে তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। ৪০ দিন পেরিয়ে গেলেও বিয়ে না করায় ফের হাসানের বাড়িতে অবস্থান নেয় ওই কলেজ ছাত্রী। এরপর থেকেই হাসানের মা ও বোন বাড়ি থেকে পালিয়ে অন্যত্র চলে গেছেন।
বিয়ের দাবিতে গত তিন দিন ধরে পুলিশ সদস্য হাসানের বাড়িতে অবস্থান করছেন উল্লেখ করে ওই কলেজ ছাত্রী আরো বলেন, হাসান নাটোর জেলায় পুলিশ কনস্টেবল হিসাবে কর্মরত রয়েছেন। তার বিপি নং- ৯৮১৮২১০৪০২। হাসান বিয়ে না করলে সমাজে আমি আর মুখ দেখাতে পারবো না।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. খবির উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এর আগে ওই ভুক্তভোগী কলেজ শিক্ষার্থী বিয়ের দাবিতে অবস্থান নিলে ছেলের মায়ের সাথে কথা বলে ৪০ দিনের সময় নেওয়া হয়। এসময় শেষ হলে আবারো ওই মেয়ে বিয়ের দাবিতে হাসানের বাড়িতে অবস্থান করছেন।
এ বিষয়ে পুলিশ সদস্য মো: হাসান আলীর মোবাইলে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি। ফলে তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
শিবালয় থানার ওসি এআরএম আল মামুন বলেন, বিষয়টি নিয়ে কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।