জুমবাংলা ডেস্ক : নিখোঁজের ৭ দিন পর ত্রিভুজ প্রেমের বলি শেরপুর সরকারী কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী সুমন মিয়ার মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।
সোমবার (১১ নভেম্বর) রাতে শহরের সজবরখিলা এলাকা থেকে সুমনের লাশ উদ্ধার করা হয়।
সুমন শহরের কসবা বারাকপাড়া নিমতলা এলাকার কৃষক নজরুল ইসলামের ছেলে।
স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, আন্নি আক্তার নামে এক কলেজ ছাত্রী প্রেম করতো রবিন ও সুমনের সাথে। একজনকে ছাড়ার উদ্দেশ্যে প্রেমিকা আন্নি আক্তার রবিনের সহযোগিতায় গত ৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় সুমনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। আন্নি সুমনকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে নিয়ে যায় রবিনের বাড়িতে। পরে রবিন তার নিজ বাসায় নিয়ে আন্নি আক্তার ও রবিনের কতিপয় সহযোগীর সহযোগিতায় সুমন কে হত্যা করে রবিনের বাড়ির আঙ্গিনায় মাটিতে পুঁতে রাখে। অপহরণের সাত দিন পর সোমবার গভীর রাতে ওই মরদেহ মাটি খুঁড়ে উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় প্রেমিকা আন্নি আক্তার, প্রেমিকার বাবা আজিম উদ্দিন ও অপর প্রেমিক রবিনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, ঘটনার দিন সুমনের বাবা সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। কয়েক দিনেও সুমনের সন্ধান না পেয়ে রোববার তার মা-বাবা, এলাকাবাসী ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কয়েকজন শিক্ষার্থী পুলিশ সুপারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সুমনকে উদ্ধার ও ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
পরে রাতেই অভিযোগটি এজাহারভুক্ত করে শহরের বাগরাকসা কাজীবাড়ি পুকুরপাড় এলাকা থেকে আন্নির পিতা শিক্ষক আজিম উদ্দিন ও প্রেমিকা আন্নি আক্তার (১৯) কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পরে আন্নির দেওয়া তথ্যে ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ময়মনসিংহ থেকে আন্নির অপর প্রেমিক পুলিশ সদস্য ফোরকান আলীর ছেলে রবিনকে আটক করে পুলিশ। রবিনকে জিজ্ঞাসাবাদের পর ঘটনার জট খোলে যায়।
পরে সোমবার গভীর রাতে শেরপুর শহরের সজবরখিলাস্থ রবিনের বাড়ির উঠানে তার দেখানো জায়গা থেকে সুমন মিয়ার লাশ মাটি খুঁড়ে উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় নিহত সুমনের স্বজনরা আন্নি ও রবিনসহ জড়িতদের ফাঁসি দাবি করেন।
পুলিশ সুপার আমিনুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মোবাইল ফোন ট্র্যাকিং করে রবিনের ফোনের সর্বশেষ অবস্থান ময়মনসিংহ থেকে অভিযুক্ত রবিনকে আটক করা হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।