Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home বাহারি রঙের টিউলিপ ফুল দোল খাচ্ছে বাগানে
    বিভাগীয় সংবাদ

    বাহারি রঙের টিউলিপ ফুল দোল খাচ্ছে বাগানে

    Saiful IslamMarch 5, 20239 Mins Read
    Advertisement

    জুমবাংলা ডেস্ক : গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভার কেওয়া দক্ষিণখ- গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ‘মৌমিতা ফ্লাওয়ার্সে’ এবারও ফুটেছে শীতের দেশের টিউলিপ। এ দম্পতি ২০২০ সালে প্রথমবার দেশে টিউলিপ ফুল ফুটিয়ে সাড়া জাগিয়েছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় এবার তার বাড়ির পাশে এক বিঘা জমিতে চাষ করেছেন ১৩ জাতের টিউলিপ। তিনবার টিউলিপ ফোটানোর গবেষণা ও সফলতার পর এটি দেলোয়ার ও সেলিনা দম্পতির চতুর্থবারের বাণিজ্যিক সফলতা।

    টিউলিপ ফুল

    বাড়ির পাশের এক বিঘা জমির বাগানে বাহারি রঙের টিউলিপ ফুল এখন বাতাসের সঙ্গে দোল খাচ্ছে। এ এক নয়নাভিরাম দৃশ্য। কৃত্রিম উপায়ে ছাদ ও প্রাচীর তৈরি করে তাপমাত্রা কমিয়ে বিদেশী ফুল টিউলিপ ফোটানোর সফলতা এসেছে। প্রথম বছর এক হাজার ১শ’টি বাল্ব (বীজ হিসেবে ব্যহৃত কা-) পরের বছর ২০ হাজার এবং এর পরের বছর ২৩ হাজার বাল্ব রোপণ করে শতভাগ ফুল ফোটাতে সক্ষম হয়েছেন ওই চাষি দম্পতি। গবেষণালব্ধ ১৩টি রঙের মধ্যে ৫টি রঙের ফুল তার বাগানে বাতাসে দোল খাচ্ছে। এর মধ্যে সাদা, লাল, গোলাপি, হলুদ, হলুদ-খয়েরী সংমিশ্রণ উল্লেখযোগ্য। তারা এ চাষ ছড়িয়ে দিয়েছেন দেশের উত্তরাঞ্চলের আরও ৮টি এলাকায়।

    দেশের মোট ১৪টি স্থানে এ বছর টিাউলিপ ফুটেছে। সারি সারি বাহারি রঙের ফুল দেখতে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দর্শণার্থীরা তার বাগানে ভিড় করছেন। দর্শনার্থীদের প্রবেশমুল্য ১শ’ টাকা করে নিচ্ছেন।

    টিউলিপের চাষ নিয়ে দেলোয়ার বলেন, প্রথম বছর দুই শতাংশ জমিতে টিউলিপের চাষ করি। আমরা সফলতা পেয়ে এবার নিয়ে চারবার টিউলিপ ফুলের চাষ করেছি। গত বছর ৭০ হাজার বাল্ব ছিল। এবার রয়েছে প্রায় দুই লাখ বাল্ব। বাংলাদেশের ১৪টি স্থানে এবার টিউলিপের চাষ হচ্ছে। বিশেষ করে পঞ্চগড়ে বড় একটা চাষ হচ্ছে। সেটা দুটি এনজিওর সহায়তায় ২০ জন নারী উদ্যোক্তার মাধ্যমে ট্যুরিজম এলাকা করা হয়েছে। আমাদের এখানে প্রায় ৬৫ হাজার বাল্ব আছে।

    আমরা ফুল ফুটিয়ে বাজারে বিক্রিও করছি। যারা পর্যটক আসছে তারা ১০০ টাকা করে টিকিট কেটে ভেতরে প্রবেশ করে দেখছে। এ বছর থেকে বাজারে আমাদের ফুল যাচ্ছে। আমরা বাজারে ফুল বিক্রি করে ভালো সাড়া পাচ্ছি। আমাদের এখান থেকে স্থানীয় ফুল বিক্রেতারা ফুল কিনে নিয়ে যাচ্ছে। কেউ এক হাজার, দেড় হাজার এবং দুই হাজার টাকার ফুল কিনে নিয়ে বিক্রি করছে। এখানে পট প্ল্যান আছে। আমরা পট প্ল্যানও বিক্রি করছি।

    মোটামুটি অন্যান্য বছরের চেয়ে বাণিজ্যিক যে সাড়া সেটা পাচ্ছি। আর টিউলিপ চাষ আমাদের বাংলাদেশের জন্য একটা কঠিন চ্যলেঞ্জের ফুল। যেহেতু আমাদের আবহাওয়ায় এ বছর শীত কম। এবার আমাদের ফুল আগে ফুটেছে। ফুলের লাইট কমে গেছে। এগুলো আমাদের সমস্যা। আরেকটা সমস্যা হলো আমাদের ভ্যাট ট্যাক্স একটু বেশি। নেদারল্যান্ড থেকে বিভিন্ন ধরনের বাল্ব আমদানি করি সেখানে ভ্যাট ট্যাক্সের পরিমাণ বেশি। এটা যদি কম হতো তা হলে আমরা আগামীতে এই ব্যবসাকে আরও প্রসার করতে পারতাম এবং ফুলের খরচ কমে যেত।

    আমরা কম দামে ফুল বিক্রি করতে পারতাম। যদি আমরা কম দামে ফুল বিক্রি করি তা হলে পরিমাণে বেশি বিক্রি করতে পারতাম। আরও অনেক লোক চাষ করে লাভবান হতো। বাল্ব না হলে আমরা উৎপাদন করতে পারব না। কারণ, কালটিভেশনের টাইম বা টেম্পারেচার সেটা একটা বিরাট ফ্যাক্ট। ২০ দিনের টেম্পারেচার যদি ২০ ডিগ্রির নিচে থাকত, রাতের টেম্পারেচার যদি ১১ ডিগ্রির নিচে থাকত তা হলে এ বাল্ব আমরা দ্বিতীয়বার ব্যবহার করতে পারতাম।

    যেহেতু আমাদের টেম্পারেচার বেশি সেক্ষেত্রে বাল্বের গুণগত মান থাকবে না। আর বাল্ব স্টোরেজ করাটা অনেক কঠিন বিষয়। এ ধরনের স্টোরেজ বাংলাদেশে নাই এবং আমাদের কৃষকের পক্ষে এ ধরনের স্টোরেজ করা সম্ভব না। এটা আনেক ব্যয় বহুল। একটা স্টোর করতে গেলে প্রায় দুই থেকে আড়াই কোটি টাকা লাগবে। পাইকাররা প্রতি ফুল ১০০ থেকে ১২০ টাকা দরে বিক্রি করছে। আমরা তাদের কাছে প্রতি ফুলের দাম নিচ্ছি ৭০ থেকে ৮০ টাকা।

    দেলোয়ারের স্ত্রী নারী উদ্যোক্তা সেলিনা হোসেন জানান, পৃথিবীতে টিউলিপ ফুলের ১৫০টির বেশি জাত আছে। টিউলিপ ফুল চাষে সবচেয়ে সফল দেশের নাম নেদারল্যান্ডস। সেখানে এই ফুলের ব্যাপক চাষাবাদ হয়। বর্তমানে নেদারল্যান্ডস ছাড়াও অন্যান্য কয়েকটি শীতপ্রধান দেশেও টিউলিপের চাষ হচ্ছে। এবছর এ বাগোনে প্রায় ১২ জাতের টিউলিপের চাষ করা হয়েছে।

    গাজীপুর শহরের উত্তর ছায়াবিথী থেকে এসেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইফ্ফাত আহমেদ মেঘলা। তিনি বলেন, এটা হচ্ছে আমাদের একটা গর্ব। এখানে এসে খুব ভালো লাগছে। ফুল প্রেমিদের অনেক ভীড়। অনেক ভেড়াইটিসের ফুল আছে এখানে। লাল, সাদা, গোলাপি অনেক ফ্লাওয়ার। আমাদের এলাকায় এ বাগান দেখার জন্য ঢাকাসহ দেশের বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে দর্শণার্থীরা আসছে।

    রাজেন্দ্রপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজের ছাত্র মুশফিকুর রহমান রৌদ্র বলেন, বাংলাদেশে বিভিন্ন রকম টিউলিপ দেখে অনেক উৎসাহিত হয়েছি। এতো কালারের টিউলিপ আমি আগে কোথাও একসঙ্গে দেখি নাই। অনেক জায়গায় অনেক বাগানে গিয়েছি। কিন্তু এতো কালারেরর ফুল একসঙ্গে দেখি নাই। আশা করি এই টিউলিপ একসময় বাংলাদেশের সম্ভাবনার বাণিজ্যের রূপ ধারণ করবে। এখন বিভিন্ন ধরনের ফুল হয়ে থাকে যার মার্কেট অনেক কম।

    টিউলিপের চাহিদা বাংলাদেশে প্রচুর। কিন্তু সে অনুযায়ী উৎপাদন হচ্ছে না। আমরা ফুলের আকার ও রং ভেদে ১’শ থেকে ১’শ ২০ টাকার বিনিময়ে ফুল কিনতে পারছি। এটা আমাদের কাছে আনন্দের।

    ঢাকা থেকে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের কর্মকর্তা শিরিন আক্তার ও জয়দেবপুর থেকে ইলেক্ট্রনিক্স ব্যবসায়ী অসিত কুমার সাহা স্বপরিবারে এসেছেন টিউলিপের বাগান দেখতে। তারা বলেন, যিনি এ বাগানটি করার উদ্যোাগ গ্রহণ করেছেন একটা ভালো উদ্যোগ নিয়েছেন। আমাদের দেশে যেহেতু এটা আনকমন তাই এটা চাষ করলে দর্শণার্থী পাওয়া যাবে। ফুল সবার প্রিয়। গোলাপের পাশাপাশি যদি এ ফুলের চাষ করা হয় এবং বাগান সবার জন্য উন্মুক্ত করা হয় তা হলে মানুষ আরও আগ্রহ পাবে।

    বাংলাদেশ বন অধিধপ্তরের জ্যেষ্ঠ বন কর্মকর্তা সানাউল্লাহ পাটোয়ারী টিউলিপের বাগান দেখতে আসেন। তিনি বলেন, টিউলিপ সাধারণত শীতপ্রধান দেশের ফুল। কানাডা, নরওয়ে, সুইডেনে বেশি ফোটে। এই ফুল আমাদের দেশে পদক্ষেপ নেওয়াটা বেশ পজেটিভ একটা অ্যাসাইন। কারণ এর টিউবার আমদানি করে আনতে হয়। খুব এক্সপেনসিভ। আর ক্লাইমেট সেনসেটিভ।

    সুতরাং নিঃসন্দেহে আমাদের দেশে এ উদ্যোগ পজেটিভ। আমাদের দেশে এ বছর আমি যতটুকু জেনেছি বিভিন্ন এলাকায় ফুলের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং অধিকাংশ জায়গায় ভালো ফুটেছে। আমি তেঁতুলিয়ার একটি বাগানেও ভিজিট করেছি। আমি শুনেছি রাঙ্গামাটি হিলটেকেও এবার উদ্যোগ নিয়েছে। এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে ভালো। তবে এটার ভবিষ্যৎ কি সেটা বলা যাবে না।

    কারণ আবহাওয়া রেসপনসিভিলিটি। তাপমাত্রার ওপর অনেক সংবেদনশীল। ফুলগুলো টিউবার মাটিতে যতœ করার পর ফুটতে মাত্র ২৩ থেকে ২৪ দিনের মাথায় ফোটা শুরু হয় এবং থাকে এক থেকে দেড় মাস। আমাদের দেশে টেম্পারেচার বেশিদিন থাকবে না। ফলে এটা যে ইকোনমিক এনভল্বমেন্ট এটা আসলে এনালাইসিস করে যারা এ বিজনেসে আসবে তাদের হিসেব করে আসতে হবে। আসলে নিঃসন্দেহে ভালো। আমাদের এখন অনেক ভিজিটর হচ্ছে।

    বিভিন্ন টুরিস্ট স্পটে মানুষ যাচ্ছে। টুরিস্ট স্পটে অন্যান্য ফুল অন্যান্য বিনোদনের পাশাপাশি এসব বিনোদন থাকলে হয়তো টুরিস্টদের জন্য যেমন বেটার যারা এর সঙ্গে জড়িত তাদের জন্যও বেটার হবে মনে হচ্ছে।

    গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন সবুজ বলেন, প্রতি বছরই চেষ্টা করি কিছুক্ষণের জন্য শ্রীপুরের এ টিউলিপ বাগানে আসতে। বাংলাদেশে আমাদের আবহাওয়ায় টিউলিপ ফোটানো যে কষ্টকর কাজ এবং প্রায় অসম্ভব ভাবতাম। কিন্তু সেলিনা-দেলোয়ার দম্পতি সেই অসম্ভব কাজটি সম্ভব করেছেন। তারা ফুলের প্রতি ভালোবাসা থেকে এ কাজটি করেছেন। এর পেছনে তাদের অনেক শ্রম আছে, টেকনোলজিরও অনেক দিক আছে।

    সেগুলো সম্পর্কে সব জেনে নানান পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে তারা এ দেশের মাটিতে টিউলিপ ফুল ফোটাতে সক্ষম হয়েছেন। এ নিয়ে চার বছর এখানে টিউলিপ ফুটছে। সংবাদ মাধ্যমে খবর পেয়ে অনেক মানুষ দেখতে আসেন। আমিও সময় পেলে একবার করে হলেও আসার চেষ্টা করি। টিউলিপ ফুলে বাল্ব সংরক্ষণে জন্য যে ধরনের সুবিধাদি দরকার আমাদের এখানে সেটি নেই।

    বাংলাদেশ সরকার কৃষির ক্ষেত্রে বিশেষ করে কৃষিতে যে ব্যাপক গবেষণা ও উন্নয়ন হয়েছে তার ফল আমরা সবাই এখন সব ক্ষেত্রে পাচ্ছি। ফুলের উৎপাদনের ক্ষেত্রেও একটা বিশাল বিপ্লব ঘটে গেছে। সারাদেশে কতগুলো বিশেষ অঞ্চলে ব্যাপকভাবে ফুলের চাষ ও উৎপাদন হচ্ছে। কাজেই আমি নিশ্চিত যদিও কম সময়ের জন্য এ ফুল ফোটে তবুও এই ফুলের জন্য যদি বিশেষায়িত কিছুর দরকার হয় সেটি নিশ্চয়ই আমাদের সামর্থ্যরে উপর নির্ভর করে সেই ব্যবস্থা সরকার করবেন।

    কারণ, বাংলাদেশ সরকার বঙ্গবন্ধু কণ্যা শেখ হাসিনার সরকার সকল ক্ষেত্রেই যেখানে যা কিছু উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন সেটি সবসময় করছেন, করে যাচ্ছেন। সৌন্দর্যবোধ সেটারওতো একটা প্রয়োজন রয়েছে। দেশটাও উন্নত হচ্ছে। মানুষ সৌন্দর্য পিপাসু, সেই সৌন্দর্যের বোধ সবার মাঝে ছড়িয়ে যাবে। দেশ এগিয়ে যাবার জন্য ততোই ভালো।

    বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও ফুল বিভাগের প্রধান ড. ফারজানা নাছরিন খান বলেন, আসলে টিউলিপ ফুলের বাগান দেখে খুবই ভালো লেগেছে। এখানে এসে দেখেছি মানুষের ব্যাপক আগ্রহ টিউলিপ বাগান নিয়ে। দেলোয়ার ২০১৮ সাল টিউলিপ ফুলটি জমিতে চাষ করছে। বাংলাদেশে টিউলিপ ফুলের সম্ভাবনা নিয়ে যদি বলতে চাই, এই টিউলিপ ফুল শীত প্রধান দেশ নেদারল্যান্ডের একটি ফুল যা সারা বিশে^ রপ্তানি করে থাকে।

    এ ফুলটি কিন্তু বাংলাদেশর ফুল প্রেমিকদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়। তারা যখন বিভিন্ন সময় ইউরোপে ভ্রমণ করেন তারা কিন্তু এ ফুলটির বাল্ব বাংলাদেশে নিয়ে আসেন। কিন্তু এতো ব্যাপক আকারে বাংলাদেশে শুরু হয় নাই। দেলোয়ার ২০১৮ সাল থেকে যখন জমিতে এ ফুলের চাষ শুরু করেছেন তখন আমরা দেখেছি যে বাংলাদেশের আবহাওয়ায় খুব সুন্দরভাবে এ ফুলটি ফুটে যাচ্ছে। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের ফুল বিভাগ যদিও ৭ থেকে ৮ বছর আগে স্বল্প পরিসরে শুরু করেছে আমি বলব জাস্ট পটে করছিলাম। দেশের আবহাওয়ায় ফুল আসলেই ফুটে।

    যেই বিষয়টা কনসার্ন ছিলো সেটি হল আমাদের এই যে বাল্বটা আমরা ব্যবহার করি সেই বাল্বটা যদি ফুল ফোটার পরের বছর এবং তার পরের বছর ব্যবহার করতে পারি সে ক্ষেত্রে কিন্তু এ ফুলটির চাষ বাংলাদেশে খুবই লাভজনক হবে। তা না হলে যে সমস্যাটা দেখা দিবে এই যে বাল্বটা অত্যন্ত কস্টিং একটা বাল্ব। বাল্বটি যদি এক বছর চাষ করে আমাদের ফেলে দিতে হয় সেক্ষেত্রে এর ভবিষ্যত সাসটেইনেবেলিটি নিয়ে একটু আমাদের মাঝে আমরা যারা বিজ্ঞানী বিষয়টা নিয়ে চিন্তা করছি। তো সামগ্রিকভাবে বলবো বাংলাদেশে এটা চাষ করা সম্ভব।

    তবে সে ক্ষেত্রে একজন বিজ্ঞানী হিসেবে আমাদেরকে আরেকটু গবেষণা করতে হবে এবং আমাদেরকে বাংলাদেশের আবহাওয়ার উপর নির্ভর করে কয়েকটি এলাকা নির্বাচন করা যেতে পারে। যেমন উত্তরবঙ্গের পঞ্চগড়, তেতুলিয়া, দিনাজপুর এবং ঠাকুরগাঁ। এই অঞ্চলগুলো যদি আমরা নির্বাচন করি যেখানে দীর্ঘদিন শীত থাকে। সেক্ষেত্রে ফুলটাও ভালো হবে পাশাপাশি ফুলটা কেটে নেওয়ার পর যে বাল্বটা থাকবে সেটাও কিন্তু কিছুটা অনুকূল আবহাওয়া পাবে তার এপ্রোপিয়েট গ্রোথের জন্য। সেইদিক থেকে আমি বলবো এটা বাংলাদেশে যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে।

    তিনি আরো বলেন, এ ক্ষেত্রে কিন্তু কিছু চ্যালেঞ্জও রয়েছে। ভবিষ্যতে যারা টিউলিপ চাষ করবেন তাদের এ চ্যালেঞ্জ মাথায় রেখে চাষ করতে হবে। প্রথম কথা হচ্ছে বাংলাদেশের বাজারটা অর্থাৎ বাংলাদেশের বাজারে টিউলিপ ফুলের চাহিদা কতটুকু। এটার কয়েক ধরনের ব্যবহার আছে। একজন ব্যবসায়ী এক ধরনের ব্যবহার দেখে চাষ করা ঠিক না বলে আমার মনে হয়। আপনি দেখতে পাচ্ছেন যে এখানে খুব সুন্দর টিউলিপ ফুটে আছে। দর্শনার্থীরা দেখতে আসছে এটা এক ধরনের ব্যবহার। আরেক ধরনের ব্যবহার হচ্ছে পট প্ল্যান হিসেবে।

    আমরা যদি পটে দুই থেকে তিনটি টিউলিপ দিয়ে এটার একটা বাজার আছে। আরেকটা বাজার হচ্ছে কাট ফ্লাওয়ার। কাট ফ্লাওয়ার বাজারটা হচ্ছে কি টিউলিপ ফুটে গেলে এটার বাজার মূল্যে থাকে না। এটা থাকে আমরা যখন বলি আন ব্লো। মানে ফুলটা ঠিক ফুটে নাই, ফুটবে। সে অবস্থায়ই কিন্তু এটার বাজার মূল্য অনেক বেশি। সে অবস্থায়ই আমাদের বাজারে নিতে হবে। অনেক চাষি এখানে ঝাঁপিয়ে পড়েন। যে এটা খুব আকর্ষণীয় একটা ফুল।

    বাংলাদেশে সবাই আমরা করি সেক্ষেত্রে আমি বলব আপনারা চ্যালেঞ্জগুলো মাথায় রেখে করবেন। কারণ, এটা কিন্তু আবহাওয়ার ওপর নির্ভর করছে। দেলোয়ারের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। গত বছরই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শীত ছিল। এতে খুবই ভালো ছিল। কারণ, আমাদের কাছে পহেলা ফাল্গুন, ভালোবাসা দিবস, একুশে ফেব্রুয়ারি দিবসগুলো আমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এইদিনগুলোর ওপর ভিত্তি করেই কিন্তু বাংলাদেশে ফুলের বাগান সাংঘাতিক আকর্ষণীয় হয়ে যায় ফুল ব্যবসায়ীদের কাছে।

    আমি বলব যে এটা কিছুটা যেহেতু প্রকৃতি নির্ভর, কাজেই একজন চাষিকে এই ফুলটি নিয়ে তখনই এগিয়ে আসতে হবে যখন এই ফুলটির চাষাবাদ এবং সম্পূর্ণ বিষয় বাংলাদেশের আবহাওয়া, প্রকৃতি এবং বাজারে চাহিদা সবগুলি বিষয় মাথায় রেখে যখন আসবেন তখন অবশ্যই উনি লাভবান হতে পারবেন।

    সিলেটের নিচে ৩ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস!

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    খাচ্ছে, টিউলিপ দোল ফুল বাগানে বাহারি বিভাগীয় রঙের সংবাদ
    Related Posts
    Mintu

    চিকিৎসা মনঃপূত না হওয়ায় চিকিৎসককে নাজেহাল বিএনপি নেতার

    July 12, 2025
    Savar

    সাভারে একদিনে ১ লাখ বৃক্ষরোপণ

    July 12, 2025
    Manikganj

    ছাত্রদল নেতার ছবি এডিট করে অপপ্রচারের অভিযোগ

    July 11, 2025
    সর্বশেষ খবর
    Joy

    সোশ্যাল মিডিয়ায় তোপের মুখে শেখ হাসিনাপুত্র জয়

    DU Chatro Dal

    ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যার বিচারের দাবিতে ঢাবি ছাত্রদলের বিক্ষোভ

    Andolon

    ব্যবসায়ী হত্যার ঘটনার প্রতিবাদে দেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্ষোভ

    arrest-dhaka

    সোহাগ হত্যার নেপথ্যে বিএনপি নেতা ইসহাকের চাঁদার লোভ

    Bhabna

    জমজ সন্তানের মা হতে যাচ্ছেন অবিবাহিত অভিনেত্রী ভাবনা

    youtube monetization ai

    No YouTube Monetization for AI Videos? YouTube Issues Clarification After Backlash

    Shamima Akter

    সন্তান কোলে নিয়ে পরীক্ষা দিয়ে দেশসেরা শামীমা, হতে চান ম্যাজিস্ট্রেট

    apple iphone 17 pro max

    Apple iPhone 17 Pro Max Price in India, Specifications & Launch Details: Everything You Need to Know

    infinix hot 60 pro+

    Infinix Hot 60 Pro+: Ultra-Slim Design Meets Power with 5,160mAh Battery and 144Hz AMOLED

    cmpher

    ৫ বলে ৫ উইকেট, ক্রিকেট ইতিহাসে নতুন রেকর্ড

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    • Feed
    • Banglanews
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.