Comb Jelly: বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীনতম সামুদ্রিক প্রাণী?

comb jelly

Comb Jelly একই সাথে ছোট এবং সামুদ্রিক নিরীহ প্রাণী হিসেবে পরিচিত। দুনিয়াতে দীর্ঘদিন ধরে এ প্রজাতির প্রাণীর অস্তিত্ব রয়েছে। বিজ্ঞানীরা মনে করেন যে ডাইনোসরদের সময়ের পূর্ব থেকেই তাদের অস্তিত্ব বজায় রয়েছে। আবার অন্যদিকে সামুদ্রিক স্পঞ্জও একই সাথে পৃথিবীর প্রাচীনতম প্রাণীদের অংশ।

comb jelly

সাম্প্রতিক সময় একটি গবেষণায় দেখা যায় যে comb jelly অ-প্রাণী বিশিষ্ট পূর্বপুরুষদের জেনেটিক উপাদান নিজেদের মধ্যে বহন করে। comb jelly এর দেহের একটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হচ্ছে যে এখানে সিলিয়া হেয়ার অবস্থান করছে।

আঠালো পদার্থ ছেড়ে দেওয়ার মাধ্যমে তারা শিকার কার্য সম্পন্ন করে থাকে। comb jelly নিয়ে ক্যালিফোর্নিয়া বার্কলে বিশ্ববিদ্যালয় এবং ভিয়েনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা প্রাথমিকভাবে বিশ্লেষণের চেষ্টা করেছেন। তবে তাদের প্রচেষ্টা শেষ পর্যন্ত সফল হয়নি।

পরবর্তী সময়ে গবেষকরা প্রাণীটির ক্রোমোজোমের দিকে মনোযোগ দেন এবং জিনের বিন্যাস পরীক্ষা করে দেখেন। ক্রোমোজোমের গঠন বিশ্লেষণ করে গবেষকরা পরিষ্কার ধারণা পান। comb jelly একটি অনন্য বিন্যাস প্রদর্শন করছে যা অ-প্রাণী জীবের সাথে বেশ সাদৃশ্যপূর্ণ।

প্রাণীর ক্রোমোজোমের উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হওয়ার আগে comb jelly এর বংশের ধারা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। প্রাচীন ক্রোমোজোমের বিন্যাস এ প্রাণীর মধ্যে দেখতে পাওয়া যায়। প্রাণীর পেশী অন্যান্য অঙ্গ এবং ক্রোমোজোমের বিবর্তন বোঝার জন্য এ ধরনের গবেষণা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

এ গবেষণার লেখক এবং খ্যাতনামা জীব বিজ্ঞানী ডেরিন মনে করেন যে, এখানে যে মেথড ব্যবহার করা হয়েছে তা অন্যান্য গবেষণায় কাজে লাগানো যেতে পারে। comb jelly এর বংশ জীবন্ত প্রাণীদের মধ্যে বেশ প্রাচীনতম। আজ থেকে ৬০০-৭০০ মিলিয়ন বছর আগেও এদের অস্তিত্ব বিদ্যমান ছিল।

পূর্বের সময়ে comb jelly বা জেলিফিশ এর মত প্রাণীদের শারীরিক গঠন কেমন ছিল তা বোঝার জন্য এ ধরনের গবেষণার গুরুত্ব রয়েছে। স্পঞ্জের স্নায়ুতন্ত্র এবং পেশির অভাব রয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে এ ধরনের সামুদ্রিক প্রাণীর সুসংঘটিত মস্তিষ্ক, পেশি বা স্নায়ুতন্ত্র নেই।