লাইফস্টাইল ডেস্ক : ঘরের দেওয়াল ঝাড়ু দেওয়ার সময় আপনি নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন যে টিকটিকি তার লেজ খসিয়ে দৌড়ে পালায়। এই লেজ খসানোর দৃশ্যটা চমকপ্রদই বটে। খসে পড়া লেজটি তিরিং বিরিং করে লাফাতেও থাকে। এছাড়া টিকটিকি তাদের লেজ খসায় যেকোনো শিকারি প্রাণীর খপ্পরে পড়লেই। এ ক্ষেত্রে তাদের প্রধান শত্রু পাখি আর বিড়াল।
টিকটিকি কেন লেজ খসায়? এর উত্তর খোঁজার জন্য বিজ্ঞানীরা বিস্তর গবেষণা করেছেন। ঘেঁটেঘুঁটে দেখেছেন, টিকটিকির শরীরের অন্যান্য অংশের চেয়ে লেজটা ভীষণ দুর্বল। আসলে টিকটিকি তার আত্মরক্ষায় জন্য এমনটা করে থাকে। ফলে এটা নিশ্চিত যে টিকটিকির লেজ খসে পড়ার বিষয়টি কোনো দুর্ঘটনা নয়।
বিপদে পড়ার পরও এদের লেজ শরীরের সঙ্গেই লেগে থাকে। কিন্তু তখনই খসে পড়ে, যখন লেজের ভেতরের কোষগুলো বিশেষ এক রাসায়নিক উৎপাদন করে। এই রাসায়নিকের প্রভাবেই ঘটে অদ্ভুত কাণ্ডটা। মজার ব্যাপার হলো, খসে পড়ার পরও কিন্তু লেজটা নড়াচড়া করতে থাকে।
এর ফলে শিকারি প্রাণী কিছুক্ষণের জন্য হলেও বিভ্রান্ত হয়। টিকটিকিটাকে ধরবে, নাকি তার জ্যান্ত লেজ? অতএব এই ফাঁকে টিকটিকি পালাতে পারে। আসলে টিকটিকির যে অংশে লেজ শুরু হয় সেখানে রক্ত প্রবাহিত হয় না এবং দুর্বল হয়। তারা মস্তিষ্ক থেকে সিগন্যাল প্রেরণ করে লেজে, যেখানে একপ্রকার কেমিক্যাল উৎপন্ন হয়, ফলে সহজেই লেজটি খসে পড়ে।
টিকটিকি তার সমগ্র জীবদ্দশায় ৬ বারের মতো লেজ খসাতে পারে। তবে এই ধরনের প্রক্রিয়ায় টিকটিকি ঠিক আগের মত লেজ পায়না। নতুন লেজের গঠন, রংয়ের প্যাটার্ন এবং সমস্ত টিস্যু আলাদা হয়। এর পাশাপাশি লেজ খসানোর পর টিকটিকির শরীর আরো হালকা হয় এবং তারা আরও দ্রুত ছুটতে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।