আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বাংলাদেশে রমজান মাসে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির হিড়িক পড়ে যায়। সেখানে কুয়েতের দৃশ্য পুরোপুরি ভিন্ন। দেশটিতে রমজান আসার আগেই নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্যের মূল্যছাড়ের ঝড় বয়ে যায়। কে কত কম দিয়ে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে পারে, বিভিন্ন মার্কেটে তা নিয়ে রীতিমত চলে প্রতিযোগিতা। এ প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে নেই সেখানকার বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরাও।
একদিকে করোনা মহামারির কারণে অনেক কারখানা বন্ধ। অন্যদিকে রাশিয়া -ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন পণ্যের মূল্য চড়া। এর পরেও রমজান উপলক্ষে দ্রব্যমূল্যের দাম কয়েকগুণ কম থাকে কুয়েতে। ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে চলে মূল্য ছাড়ের প্রতিযোগিতা।
চাল, ডাল, তেল, চিনি ও ফলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় যেসব পণ্যের চাহিদা রমজান মাসে বেশি থাকে সেগুলোর ওপর থাকে বিশেষ ছাড়। বিভিন্ন মার্কেটের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরাও বিশেষ ছাড় দিয়ে থাকেন।
বিভিন্ন দেশের পণ্যের পাশাপাশি বাংলাদেশি পণ্যও কিনে থাকেন বিদেশি ক্রেতারা।
কেউ যাতে কোনো পণ্যের দাম বাড়াতে না পারে তা খতিয়ে দেখতেও নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয় দেশটিতে। কুয়েতে ভোক্তা সুরক্ষা বিভাগের কর্মীরা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন মার্কেট পরিদর্শন করেন। অতিরিক্ত মূল্য কিংবা খারাপ পণ্য, বিক্রয় হচ্ছে কি না সার্বক্ষণিক তদারকি করছেন।
আইন অমান্যকারীকে জেলসহ মোটা অংকের জরিমানা করা হচ্ছে। কোনো ক্ষেত্রে আইন অমান্য করলে দোকান বন্ধও করে দেওয়া হয়।
কুয়েতে রমজান ছাড়াও ঈদ অথবা নববর্ষ যেকোনো আনন্দক্ষণে দেশটির প্রায় সব মার্কেট, সুপারশপ, খাদ্য ও নিত্যপণ্যের দোকানগুলোতে দেওয়া হয় বিশেষ মূল্যছাড়। রমজান উপলক্ষে ব্যবসায়ীরাও দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে এগিয়ে আসেন। এতে রোজাদারের অতিরিক্ত অর্থকষ্ট লাঘবে মানবতার দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেন দেশটির ব্যবসায়ীরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।