জুমবাংলা ডেস্ক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) স্যার এ এফ রহমান হলের গেস্ট রুমে ইডেন কলেজের এক ছাত্রীকে নিয়ে আসার অপরাধে হল ছাত্রলীগের দফতর সম্পাদক কামরুল হাসান শুভকে শোকজ করেছে হল প্রশাসন।
ছাত্রলীগ নেতা শুভর বিরুদ্ধে গত বৃহস্পতিবার এক নারীকে নিয়ে হলের গেস্ট রুমে রাত্রীযাপনের অভিযোগ ওঠে। ওই ঘটনার পর ঢাবিতে তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়। এ অভিযোগের ভিত্তিতে একটি কমিটি গঠন করেছিল হল প্রশাসন। তদন্ত কমিটি তাদের জমা দেওয়া প্রতিবেদনে বলেছে, গেস্ট রুমে ওই ছাত্রীকে আনার ঘটনাটি সত্য। তবে রাতে নয়, বরং ভোরে তারা গেস্ট রুমে প্রবেশ করেছিলেন। ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাড়িয়ে প্রচার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অশ্লীলতার যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা সত্য নয় বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে তদন্ত কমিটি। তবে এত ভোরে একজন নারীকে গেস্ট রুমে আনার কারণে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে শোকজ করেছে হল প্রশাসন।
স্যার এ এফ রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কে এম সাইফুল ইসলাম এসব তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হওয়ায় আমরা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছিলাম। তদন্ত কমিটির সদস্য ছিলেন হলের সিনিয়র হাউস টিউটর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আজম ও হাউস টিউটর তৌহিদুল ইসলাম। তারা দ্রুততম সময়ের মধ্যে তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করে প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। তারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সবার সঙ্গে কথা বলেছেন ও প্রয়োজনীয় আলামত পর্যবেক্ষণ করেছেন।
তদন্ত কমিটি বলছে, ভোর ৫টা বেজে ৩৪ মিনিটের সময় কামরুল হাসান শুভ ওই নারীকে নিয়ে গেস্ট রুমে প্রবেশ করেন। এ সময় তার কাছাকাছি হলের একজন কর্মচারী ছিলেন। এ সময় আরও কয়েকজন শিক্ষার্থীও গেস্ট রুমে প্রবেশ করেন ও বের হয়ে যান। গেস্ট রুমের দরজা-জানালা বন্ধ কিংবা পর্দা নামানোর সত্যতা পাওয়া যায়নি। তার কিছুক্ষণ পর তারা দুজন একসঙ্গে নাশতা করার পর ওই নারী চলে যান।
অধ্যাপক ড. কে এম সাইফুল ইসলাম এই প্রতিবেদককে বলেন, ওই নারী ছেলেটির বন্ধু। তিনি তার গ্রামের বাড়ি রংপুর থেকে ফিরছিলেন। তার বাসা তালা দেওয়া থাকায় তিনি শুভর সঙ্গে গেস্ট রুমে বসে অপেক্ষা করেন এবং এক পর্যায়ে চলে যান। সাধারণত আমরা ৬টার আগে গেস্ট রুমে কাউকে প্রবেশ করতে নিরুৎসাহী করি। যদিও এ বিষয়ে লিখিত কোনো নিয়ম নেই। তারপরও আমরা ওই শিক্ষার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিস দিয়েছি কেন এত ভোরে একজন নারী শিক্ষার্থীকে হলের গেস্ট রুমে আনা হয়েছে। পাশাপাশি তদন্ত কার্যক্রম চলার কারণে তাকে এক রাতে হলে থাকতে দেওয়া হয়নি।
এ বিষয়ে কামরুল হাসান শুভ বলেন, আমার ওই বন্ধু রংপুর থেকে ঢাকায় আসেন। এত ভোরে তার বাসায় যাওয়া সম্ভব ছিল না বিধায় আমি তাকে নিয়ে গেস্ট রুমে অপেক্ষা করি। হলের নিরাপত্তা প্রহরীরাও আমাদের দেখেছেন। সকাল হয়ে যাওয়ায় তারা বাধা দেননি। একটি মহল এ বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার করায় বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। তদন্ত কমিটির কাছে আমি কারণ দর্শানো নোটিসের জবাব দিয়েছি। তারা আমার ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট হয়েছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।