জুমবাংলা ডেস্ক : বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের বন্ধ হওয়া ১৬ কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে গ্রামীণ ফেব্রিক্স নামে একটি পোশাক কারখানা ও ৪টি গাড়িতে আগুন দিয়েছেন বেক্সিমকোর বন্ধ কারখানার পোশাক শ্রমিকরা। এসময় তারা চন্দ্রা-নবীনগর সড়কে অর্ধশত যানবাহনে ব্যাপক ভাঙচুর চালান।
আগুন দেওয়া যানবাহনের মধ্যে তিনটি যাত্রীবাহী বাস ও একটি লরি। ঘটনার তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে শ্রমিকদের হামলায় তিন সংবাদকর্মী আহত হয়েছেন।
জানা গেছে, বুধবার (২২ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে তিনটা থেকে শ্রমিকরা বেক্সিমকো গ্রুপের বন্ধ ঘোষণা করা ১৬ কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে চন্দ্রা নবীনগর সড়ক অবরোধ করেন। এতে ওই সড়কে চলাচলকারী যাত্রীরা চরম বিপাকে পড়েন। খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে শ্রমিকদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরানোর চেষ্টা করেন। এর মধ্যে শ্রমিকরা চারটি গাড়িতে আগুন এবং অর্ধশতাধিক যানবাহনে ভাঙচুর চালান। তারা গ্রামীণ ফেব্রিক্স নামে একটি পোশাক কারখানায় আগুন ধরিয়ে দেন। এক পর্যায়ে রাত আটটার দিকে সেনাবাহিনী, পুলিশসহ যৌথবাহিনীর সদস্যরা লাঠিচার্জ ও ধাওয়া দিয়ে শ্রমিকদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দিলে ওই সড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
গত ১৫ ডিসেম্বর শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বেক্সিমকোর শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর শ্রম ও ব্যবসায় পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের কমিটির সভার সিদ্ধান্তের পর বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের ১৬ কারখানা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
গাজীপুর শিল্পাঞ্চল পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মো. আবু তালেব বলেন, শ্রমিকদের বারবার মহাসড়ক ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ জানালেও তারা তা শোনেননি। শ্রমিকরা মহাসড়কে যানবাহনে আগুন এবং ভাঙচুর করতে থাকেন। তারা গ্রামীণ ফেব্রিক্স নামে একটি পোশাক কারখানাতেও আগুন ধরিয়ে দেন। এক পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এখন যান চলাচল স্বাভাবিক আছে। ঘটনাস্থলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।