আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অভাবনীয় প্রসারের ঝুঁকি, নিয়ন্ত্রণ ও আনুষঙ্গিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে লন্ডনে দুই দিনের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মার্কিন প্রশাসনও এআই প্রযুক্তি নিয়ন্ত্রণে আনতে পদক্ষেপ নিচ্ছে।
রাজনীতি ও অর্থনীতি জগতের শীর্ষ নেতা, বিজ্ঞানী, বিশেষজ্ঞ ও প্রযুক্তিবিদদের নিয়ে বুধবার ব্রিটেন এক অভূতপূর্ব সম্মেলনের আয়োজন করছে। তথাকথিত ‘ফ্রন্টিয়ার এআই’ প্রযুক্তির প্রভাবকে ঘিরে আশঙ্কা নিয়ে তারা আলোচনা করবেন। সবচেয়ে উন্নত এই প্রযুক্তির কারণে কর্মী ছাঁটাইয়ের আশঙ্কা, আরো মারাত্মক সাইবার হামলা, মানুষের তৈরি প্রণালীর উপর নিয়ন্ত্রণ হারানোর ভয় কীভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব, সে বিষয়ে স্পষ্ট রূপরেখা স্থির করতে চান অংশগ্রহণকারীরা।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক, মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস, ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন, জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিয়ো গুতেরেসের মতো শীর্ষ নেতারা সম্মেলনে উপস্থিত থাকছেন। ইলন মাস্কের মতো প্রযুক্তি জগতের শীর্ষ ব্যক্তিত্বও এই সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন। এআই প্রযুক্তি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বর্তমান বিধিনিয়ম যে যথেষ্ট নয়, রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে সেই উপলব্ধি বাড়ছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী সুনাক এ ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা ও সমন্বয়ের ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক স্তরে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছেন। তার মতে, ভবিষ্যতে কোনো এআই সিস্টেম কার্যকর হবার আগেই নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই এই উদ্যোগের লক্ষ্য। তবে তার আগে সম্মেলনে সেই সব ঝুঁকি চিহ্নিত করতে চান তিনি। জলবায়ু পরিবর্তনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে যেমন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের এক প্যানেল সৃষ্টি করা হয়েছে, এআই প্রযুক্তির ক্ষেত্রেও সে রকম বিশেষজ্ঞদল সৃষ্টি করতে চান সুনাক।
মার্কিন প্রেসি়ডেন্ট জো বাইডেনও বিষয়টিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছেন। ব্রিটেন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এআই ক্ষেত্রের অনেক বড় কোম্পানি সক্রিয় থাকায় ব্রিটিশ সরকার অ্যামেরিকার সঙ্গে মিলে এই সম্মেলন আয়োজনের উদ্যোগ নিচ্ছে। লন্ডনের ব্লেচলি পার্ক এলাকায় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যেখানে ব্রিটিশ বিশেষজ্ঞরা নাৎসি জার্মানির ‘এনিগমা’ কোডের রহস্য ভেদ করে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তি সম্ভব করতে সাহায্য করেছিলেন।
সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন নতুন এক নির্বাহী অধ্যাদেশের মাধ্যমে এআই প্রযুক্তির ঝুঁকি কমানোর উদ্যোগ নিয়েছেন। এর আওতায় কোনো এআই প্রযুক্তি বাজারে আনার আগে অ্যামেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা, অর্থনীতি, গণস্বাস্থ্যের মতো ক্ষেত্রে ঝুঁকি এড়ানোর লক্ষ্যে ডেভেলপারদের পরীক্ষা চালিয়ে তার ফল মার্কিন প্রশাসনকে জানাতে হবে। তাছাড়া সংশ্লিষ্ট মার্কিন কর্তৃপক্ষকে এমন পরীক্ষার মানদণ্ডও স্থির করতে হবে। বাইডেন এআই প্রযুক্তির ঝুঁকি এড়িয়ে এর সুফল ভোগ করার উদ্যোগ নিতে চান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।