বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : ব্ল্যাক হোল। মহাকাশের অনন্ত বিস্ময়। মহাজাগতিক খিদে তাদের। এবার গবেষকরা সাক্ষী থাকলেন ব্ল্যাক হোলের নাক্ষত্রিক ভোজের! একসঙ্গে ১৮টি অতিকায় কৃষ্ণগহ্বরের দর্শন পেলেন তারা। যে ব্ল্যাক হোলগুলি কাছাকাছি থাকা তারাদের গিলে চলেছে!
এই ধরনের ঘটনাকে বলে টাইডাল ডিসরাপশন ইভেন্টস তথা টিডিই। আর যেভাবে কাছে থাকা নক্ষত্রদের অভিকর্ষজ বলের ধাক্কায় ব্ল্যাক হোল নিজেদের কাছে টেনে নেয়, তাকে বলে স্প্যাটিফিকেশন। ঠিক কী হয়? যখন কোনও ব্ল্যাক হোলের কাছাকাছি পৌঁছয় নক্ষত্ররা, তখন তাদের শরীরের সব উপাদান যথা গ্যাস ও ধুলা সব টেনে নিতে থাকে ব্ল্যাক হোল।
ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির গবেষকরা সাম্প্রতিক গবেষণায় এই মহাজাগতিক কাণ্ডকারখানা প্রত্যক্ষ করেন। ইনফ্রা রেড আলো ও কম্পিউটার প্রোগ্রামের সাহায্যে সংগৃহীত তথ্য থেকে তারা জানতে পেরেছেন, ৬০ কোটি আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত ওই ব্ল্যাক হোলগুলি।
উল্লেখ্য, ব্ল্যাক হোলের গঠন ও চরিত্রকে আরও নিখুঁত ভাবে জানতে সারা পৃথিবীতেই কাজ করে চলেছেন বিজ্ঞানীরা। মিলছে নিত্যনতুন তথ্য। বছরখানেক আগে বিজ্ঞানীরা দাবি করেছিলেন মহাকাশে বিপুল সুনামি তৈরি করে ফেলতে পারে ব্ল্যাক হোল। এবার তাদের মহাজাগতিক খিদের দর্শন পেলেন গবেষকরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।