জুমবাংলা ডেস্ক : জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) অনুমোদন পাওয়া খসড়া গঠনতন্ত্রে দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সারাদেশের কাউন্সিলদের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হবেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
শুক্রবার (২০ জুন) দলীয় সাধারণ সভায় এনসিপির খসড়া গঠনতন্ত্র অনুমোদন শেষে এমন তথ্য জানানো হয়।
দলীয় সূত্র জানায়, এনসিপির ৬ষ্ঠ সাধারণ সভায় গঠনতন্ত্র বিষয়ক গৃহীত সিদ্ধান্তের মধ্যে আরও বলা হয়েছে- একজন সদস্য জীবনে সর্বোচ্চ দুইবার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করতে পারবে।
এছাড়া সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ‘পলিটিক্যাল কাউন্সিল’র কাছে দায়বদ্ধ থাকবে।
‘পলিটিক্যাল কাউন্সিল’ ন্যাশনাল কাউন্সিলের ভোটে নির্বাচিত হবে। এই কাউন্সিলে সর্বনিম্ন ১১ থেকে সর্বোচ্চ ১৫ সদস্য বিশিষ্ট হবে। ১১ জন সদস্য ন্যাশনাল কাউন্সিলের ভোটে নির্বাচিত হবেন; তন্মধ্যে নূন্যতম তিন জন নারী সদস্য থাকবেন।
পদাধিকারবলে দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পলিটিক্যাল কাউন্সিলের অন্তর্ভুক্ত হবেন। এই পর্ষদের বাকি দুই সদস্য সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দ্বারা মনোনীত হবেন।
গঠনতন্ত্র অনুযায়ী জাতীয় নাগরিক পার্টির একটি ‘ন্যাশনাল কাউন্সিল’ থাকবে। এই ফোরাম পলিটিক্যাল কাউন্সিল নির্বাচন, সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন এবং জরুরি সময়ে কিছু কিছু বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার দায়িত্ব পালন করবে। ন্যাশনাল কাউন্সিল কেন্দ্রীয় কমিটি, অঙ্গসংগঠনের নির্বাহী কমিটি, জেলা পদমর্যাদার কমিটি থেকে ৫ জন এবং উপজেলা পদমর্যাদার কমিটি থেকে ২ জন সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত হবে।
জাতীয় নাগরিক পার্টির একটি কেন্দ্রীয় কমিটি থাকবে। যা দলের সভাপতি, সহ-সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক, সম্পাদকমন্ডলী, অন্যান্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক সাধারণ সদস্য এবং ক্ষেত্রবিশেষ জেলা সভাপতির সমন্বয়ে গঠিত হবে। কেন্দ্রীয় কমিটির মেয়াদ হবে তিন বছর। মেয়াদের শেষ নব্বই দিনের মধ্যে পরবর্তী কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়া পাস হওয়া এনসিপির ‘খসড়া গঠনতন্ত্র’ আগামী কাউন্সিলের পূর্বে প্রয়োজন সাপেক্ষে বর্তমান প্রতিষ্ঠাকালীন আহ্বায়ক কমিটি সংশোধন করতে পারবে বলেও সিদ্ধান্ত হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।