লাইফস্টাইল ডেস্ক : রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়লে খাওয়া-দাওয়ার তালিকাতেও আসে আকাশ-পাতাল পরিবর্তন। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বিশেষ করে তেল মশলা জাতীয় খাবারের প্রতি বেশি সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। তবে তেল খাওয়া কি একেবারেই নিষিদ্ধ? এমন কিছু তেল আছে, যা দিয়ে রান্না করলে ডায়াবেটিসসহ অন্যান্য জটিল রোগেও উপকার পাওয়া যায়।
চলুন এবার জেনে আসি, রান্নায় কোন কোন তেল ব্যবহার করলে ডায়াবেটিসের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
অলিভ অয়েল
অলিভ অয়েলে রয়েছে সব ধরনের উপকারী উপাদান। এতে কিছু উপকারী ফ্যাটও আছে, যা রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়তে দেয় না। শুধু ডায়াবেটিস নয়, যারা হৃদ্রোগের সমস্যায় ভুগছেন, অলিভ অয়েল তাদের জন্যও অনেক উপকারী।
অ্যাভোকাডো অয়েল
ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে এই তেল বেশ উপকারী। অ্যাভোকাডো অয়েলে রয়েছে উপকারী মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট, যা শর্করার মাত্রা বাড়তে দেয় না। সেই সঙ্গে কোলেস্টেরল রোগীদের জন্যও অ্যাভোকাডো অয়েল স্বাস্থ্যকর। উচ্চ রক্তচাপ থাকলেও অ্যাভোকাডো অয়েল খাওয়া যেতে পারে।
বাদাম তেল
শরীরের যত্ন নিতে পিনাট বাটার অনেকেই খান। বাদাম তেলও বেশ স্বাস্থ্যকর। ডায়াবেটিস থাকলে বাদাম তেল দিয়ে রান্না করা খাবার খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন। এই তেলেও রয়েছে উপকারী মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট। এই ফ্যাট হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমায়। কোলেস্টেরলের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে রাখে।
তিসির তেল
ওজন কমাতে নিয়ম করে তিসির বীজ খেয়ে থাকেন অনেকেই। পাশাপাশি তিসির তেলও শরীরের জন্য উপকারী। ডায়াবেটিস ধরা পড়লে তিসির তেলে রান্না করতে পারেন। তিসিতে রয়েছে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। এই উপাদান শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এ ছাড়া তিসির বীজে রয়েছে পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট, এই ফ্যাট কোলেস্টেরল থেকে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
সূত্র: এনডিটিভি হেল্থ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।