নিজস্ব প্রতিবেদক : অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ক্ষমতা গ্রহণের পর তৃতীয় দফায় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করেছেন। গত শনিবার প্রথম দিনের সংলাপে অংশ নেয় বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, গণ অধিকার পরিষদসহ পাঁচটি দল এবং গণতন্ত্র মঞ্চসহ তিনটি জোট।
তবে এবারের সংলাপে জাতীয় পার্টিকে (জাপা) এখনো আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। সরকারের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থানের ছাত্র নেতৃত্বের পক্ষ থেকে দলটির ব্যাপারে আপত্তি এসেছে।
এদিকে, জাতীয় পার্টিকে সংলাপে আমন্ত্রণ জানানো হলে তীব্র প্রতিবাদ ও কঠোর বিরোধিতা করা হবে জানিয়ে সোমবার দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসানাত আবদুল্লাহ।
হাসানাত আবদুল্লাহ তার পোস্টে লেখেন, “স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টিকে সংলাপে আমন্ত্রণ জানানো হলে, আমরা সেই আত্মঘাতী সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ ও কঠোর বিরোধিতা করব।”
এই আপত্তির পেছনে অভিযোগ হচ্ছে, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের সহযোগী ছিল জাপা। এমন প্রেক্ষাপটে সংলাপে জাপার ডাক পাওয়ার বিষয়টি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। সরকারি সূত্রগুলো বলছে, জাপাকে সংলাপে ডাকা হবে কি না, সে ব্যাপারে অন্তর্বর্তী সরকার এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি।
জানা যায়, দুর্গাপূজার পর ১৯ অক্টোবর বাকি দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করবেন প্রধান উপদেষ্টা।
সেদিনের সংলাপের জন্য অলি আহমদের নেতৃত্বাধীন এলডিপি, বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা ১২দলীয় জোট, বাংলাদেশ জাসদ ও আন্দালিব রহমান পার্থর নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টিকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। ছোট আরো দু-একটি দল আমন্ত্রণ পেতে পারে। তবে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলীয় জোটকে সংলাপে ডাকা হবে না। এমনকি আওয়ামী লীগের মিত্র বা দোসর হিসেবে পরিচিতি কোনো দলের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকার আলোচনায় বসবে না।
এটি সরকারের নীতিগত অবস্থান বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে।
জানা যায়, শেখ হাসিনার সাড়ে ১৫ বছরের শাসনে মিত্র বা সহযোগী হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিল জাতীয় পার্টি। দলটির নেতারা কখনো মন্ত্রিত্ব নিয়ে সরকারের অংশীদার হয়েছেন। কখনো সংসদে বিরোধী দলের আসনে বসে ‘গৃহপালিত’ উপাধিও পেয়েছিল জাপা। সর্বশেষ গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনেও অংশ নিয়ে দ্বাদশ সংসদে বিরোধী দলের আসনে বসেছিল দলটি।
গণ-অভ্যুত্থানে স্বৈরশাসনের পতনের পর জাতীয় পার্টির অতীত নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠছে। এখন প্রধান উপদেষ্টার সংলাপে ডাক পাওয়ার ক্ষেত্রে জাতীয় পার্টির সেই অতীত বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
জানা যায়, একাধিক রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে সংলাপে জাপাকে আমন্ত্রণ না জানানোর অনুরোধ করা হয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কাছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।