বিজ্ঞান ও প্রযক্তি ডেস্ক : চ্যাটজিপিটি-এর মত জেনারেটিভ এআই টুলগুলো যত বেশি জনপ্রিয় হচ্ছে ততই বাড়ছে এআই-এর হাতে তথ্য বেহাত হওয়ার ঝুঁকি। এই সমস্যার সমাধানে ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডনের একদল গবেষক নিয়ে এসেছে ‘কপিরাইট ট্র্যাপস’। এই পদ্ধতি ব্যবহার করে জানা যাবে এআই-এর দ্বারা নির্দিষ্ট কোন সাইটের তথ্য চুরি হয়েছে কিনা।
সম্প্রতি এমআইটি টেকনোলজি রিভিউ-তে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায় যে, ‘কপিরাইট ট্র্যাপস’-এর কোড সকলের জন্য উন্মুক্ত আছে জনপ্রিয় ডেভেলপার প্ল্যাটফর্ম গিটহাবে। যেকেউ চাইলে নিজের সাইটে এই ‘কপিরাইট ট্র্যাপস’-এর কোড ব্যবহার করে সাইটের কপিরাইটযুক্ত কন্টেন্টের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারে।
এই পদ্ধতিতে পুরো সাইটে কিছু কিছু টেক্সট লুকিয়ে রাখা হয়। পরবর্তীতে কোন এআই মডেলকে উক্ত সাইটের কন্টেন্ট ব্যবহার করে প্রশিক্ষণ দেয়া হলে লুকিয়ে রাখা টেক্সটগুলোই চূড়ান্ত প্রমান হিসেবে কাজ করবে। অর্থাৎ কিছু ‘অর্থহীন’ (গিবারিশ) টেক্সট সাইটজুড়ে লুকিয়ে রাখা হবে- যেমন সোর্সের কোডের মধ্যে, এবং ‘অর্থহীন’ এই টেক্সটই প্রমাণ করবে লার্জ ল্যাংগুয়েজ মডেলকে প্রশিক্ষণের জন্য উক্ত সাইটের টেক্সট ব্যবহার করা হয়েছে কিনা।
১৪ দিনের ব্যাটারির স্থায়িত্ব নিয়ে বাজারে আসছে হুয়াওয়ে ব্যান্ড-৮
এআই-তে কপিরাইট ট্র্যাপের ধারণা নতুন হলেও এর আগে অন্যান্য মাধ্যমে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে। তবে গবেষকরা স্বীকার করেছেন যে, কপিরাইট ট্র্যাপ-এর এই সমাধান শতভাগ নিখুঁত নয়। কেননা যাদের জানা আছে কিভাবে এই ‘ট্র্যাপ’ খুঁজে বের করতে হয় তাদের পক্ষে এটা এড়ানোও কঠিন কিছু নয়। তবে জেনারেটিভ এআই-ভিত্তিক টুল ও ফিচার যেভাবে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে তাতে করে ডেটা সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ‘কপিরাইট ট্র্যাপ’ এর মতো সলিউশনের উন্নয়নে কাজ অব্যাহত রাখার কোন বিকল্প নেই।
তথ্যসূত্র: ম্যাশেবল
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।