আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সপ্তাহ খানেক আগেই ফরাসি প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয়বারের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন ইমানুয়েল ম্যাক্রোন। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পরই এমন একটি ঘটনা প্রকাশ্যে আসল যা নিয়ে ফ্রান্সের রাজনৈতিক মহলে বিতর্ক শুরু হয়েছে। ম্যাক্রোনের দলের এক নেত্রীর তহবিলের খরচ পর্যবেক্ষণ করার সময় দেখা যায়, প্রায় ৭০০০ ইউরো (বাংলাদেশি টাকায় ৬ লাখ ৪০ হাজারের ওপর) দামি জামাকাপড় ও অন্তর্বাস কিনে খরচ করেছেন।
আইনজীবী এই নেত্রীর নাম ক্যারোলি ডাবস্ট। ২০১৬ সালে ম্যাক্রোন দল গঠন করার পর তিনি এলআরইএম দলে যোগ দেন। ২০১৭ সালে দক্ষিণ ফ্রান্সের মন্টপেলিওর থেকে পার্লামেন্টের সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন ক্যারোলি।
সেই বছরেই ম্যাক্রোন তহবিলের অর্থ খরচ করার ক্ষেত্রে আরও কঠোর নিয়মবিধি জারি করেন। পার্লামেন্টের যেসব সদস্যের বেতন ৮৬ হাজার ইউরো (বাংলাদেশি টাকায় ৭৮ লাখের ওপরে), তাদের খরচের রসিদ খতিয়ে দেখতে বলা হয় নিরীক্ষা বিভাগকে।
ফ্রান্সের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি অডিট এজেন্সির কর্মকর্তারা ২০২১ সাল থেকেই ক্যারোলিকে নিয়ে তদন্ত শুরু করেন। এত দিন এ তথ্যগুলো গোপন রেখেছিলেন তারা।
২০১৮ সাল থেকেই ক্যারোলি ফ্রান্সের নামী ব্র্যান্ডের জামা ছাড়াও ৪২০ ইউরোর (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩৮ হাজার টাকার বেশি) অন্তর্বাস পর্যন্ত কেনেন। টানা তিন মাস তহবিলের টাকা খরচ করেই কেনাকাটা করেন ক্যারোলি।
ক্যারোলি প্রথমে এ অভিযোগ অস্বীকার করলেও সংবাদমাধ্যমে তার কীর্তি প্রকাশ্যে আসায় তিনি নিজে থেকেই দলত্যাগ করেন।
ক্যারোলি বলেন, ‘আমি কাউকে ঠকাইনি। সাংসদ হিসেবে আমাকে যে ধরনের জামা পরতে হত, ব্যক্তিগত জীবনে আমি কখনোই সেগুলো পরতাম না।’
তিনি বলেন, ‘আমি রাজনৈতিক জীবন থেকে নিজেকে সম্পূর্ণভাবে সরিয়ে নিলাম। এখন নিজের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সুন্দর সময় কাটাতে পারব।’
তিনি যে পরিমাণ টাকা খরচ করেছেন, তার সবটাই ফেরত দিয়ে দিয়েছেন বলেও দাবি করেন তিনি। তবুও তাকে এখন নানাভাবে বিপর্যস্ত করা হচ্ছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। সূত্র : আনন্দবাজার।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।