কোটি কোটি ভক্তকে কাঁদিয়ে বিদায় নিলেন কার্লোস তেভেজ

কার্লোস তেভেজ

স্পোর্টস ডেস্ক : তখন ৪-৪ গোলে সমতা। শেষ ব্যক্তি হিসেবে পেনাল্টি শুট করবেন কার্লোস তেভেজ। কলম্বিয়ার জালে গোলও করেন তিনি। ততক্ষণে কোপা আমেরিকার সেমিফাইনালে ওঠার উচ্ছ্বাস আর্জেন্টাইন শিবিরে। সেই উচ্ছ্বাস প্রশমিত হয় সমর্থকদের মাঝেও। যদিও ২০১৫ সালের সে আসরে ফাইনালে উঠেও শিরোপা জেতা হয়নি তেভেজের আর্জেন্টিনার। সেই তেভেজ এবার বিদায় বলে দিলেন সব ধরনের ফুটবলকে। খবর মুন্ডো আলবিসেলেস্তের।

কার্লোস তেভেজ

অবসর নেয়ার খবরটা এভাবে জানিয়েছেন তেভেজ, ‘আমি অবসর নিয়েছি। এটা নিশ্চিত। আমাকে অনেকে অনেক প্রস্তাব দিয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্র থেকেও প্রস্তাব এসেছিল। কিন্তু আমি সবকিছু ছেড়ে দিয়েছি।’

জাতীয় দলের হয়ে সবশেষ ২০১৫ সালে খেললেও তেভেজ বোকা জুনিয়র্সের জার্সিতে ২০২১ সাল পর্যন্ত খেলেছেন। ৩৮ বছর বয়সে এসে খেলাটা নিজের জন্য কঠিন বলেই মন্তব্য করেছেন তেভেজ। তার ওপর গত বছর বাবাকেও হারিয়েছেন এ ফুটবলার। এসব নিয়ে তেভেজ বলেন, ‘গত বছর আমার জন্য খেলাটা অনেক কঠিন ছিল। কিন্তু বৃদ্ধ আমাকে দেখতে চেয়েছিল। খেলাটা ছেড়ে দিয়েছি, কারণ আমার এক নম্বর ভক্ত আর বেঁচে নেই।’

আর্জেন্টিনা দলের হয়ে তেভেজের পথচলার শুরু সেই ২০০৪ সালে। সে বছরই অলিম্পিক স্বর্ণপদক জেতেন তিনি। যদিও সিনিয়র দলের হয়ে তার উল্লেখযোগ্য অর্জন নেই। ২০১০ বিশ্বকাপের শেষ ষোলোয় মেক্সিকোর বিপক্ষে দুটি গোলের জন্য দারুণ আলোচিত হয়েছিলেন তিনি। যার একটি গোল নিয়ে আছে অফসাইড বিতর্ক। অন্য গোলটি তেভেজ করেছিলেন ডি বক্সের অনেকটা বাইরে থেকে, দুর্দান্ত ও বুলেট গতির শটে।

অল্প পুঁজিতে লাভজনক গ্রাসকার্প মাছ চাষ পদ্ধতি

ক্যারিয়ারে ৯টি ক্লাবের হয়ে খেলেছেন তেভেজ। বোকা জুনিয়র্স দিয়ে শুরুটা করে থেমেছেনও একই ক্লাবের হয়ে। মাঝে তিনি খেলা উপহার দিয়েছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, ম্যানচেস্টার সিটি ও য়্যুভেন্তাসের হয়ে। এগুলোর মধ্যে হয়তো বোকা জুনিয়র্স, ম্যানসিটি ও য়্যুভেন্তাসের জার্সিতেই সমর্থকরা তাকে স্মরণে রাখবেন। বোকা জুনিয়র্সে ২৭৯ ম্যাচে ৯৪, ম্যানসিটিতে ১৪৮ ম্যাচে ৭৩ ও য়্যুভেন্তাসে ৯৫ ম্যাচে ৫০ গোল করেন তিনি। ক্লাবের হয়ে একাধিক লিগ জেতার পাশাপাশি তিনি জেতেন ২৬টির মতো ট্রফি।