‘মাঠ পর্যায়ের সঠিক রিপোর্ট প্রধানমন্ত্রীর হাতে পৌছায়নি’

সাইফুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ: সকল যোগ্যতা থাকার পরও কেন দলীয় মনোনয়ন থেকে বঞ্চিত হলেন, তার হিসাব নেই বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের প্রথম টেস্ট অধিনায়ক নাঈমুর রহমান দুর্জয় এমপির কাছে । তিনি মানিকগঞ্জ-১ (ঘিওর-দৌলতপুর-শিবালয়) আসন থেকে পর পর দুই বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলন। এবার তার আসনে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম।

নাঈমুর রহমান দুর্জয়। ফাইল ছবি

দলীয় মনোনয়ন না পাওয়া ও স্বতন্ত্র প্রার্থী না হওয়া প্রসঙ্গে সম্প্রতি মানিকগঞ্জ শহরের নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে সাবেক ক্রিকেটার নাঈমুর রহমান দুর্জয় জানান, দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার জন্য যে সকল যোগ্যতার কথা বলা হয়েছিল তার সবগুলোই ছিল। প্রথম শর্ত এলাকার নেতাকর্মী ও জনগনের সাথে সম্পর্ক, দুই করোনাকালীন সময়ে মানুষের পাশে দাড়াঁনো, তিন দলীয় কর্মসূচি পালন ও বয়স বিবেচনা।

আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ার কারণ হিসেবে মাঠ পর্যায়ের সঠিক রিপোর্ট প্রধানমন্ত্রীর হাতে পৌছায়নি বলে মনে করেন নাঈমুর রহমান দুর্জয়। এরপরও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তার প্রতি সম্পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে জানিয়ে দুর্জয় জানান, প্রধানমন্ত্রী যেটা ভালো মনে করেছেন সেটাই করেছেন। অনেক বর্তমান এমপি দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। তাকেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার জন্য জেলার অনেক নেতাসহ তৃণমূল নেতাকর্মীরা চাপ দিয়েছেন।

কিন্ত মানিকগঞ্জ-১ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য নাঈমুর রহমান দুর্জয় মনে করেন, তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হলে দলীয় প্রার্থীর ক্ষতি হয়ে যাবে, আর প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তকে অসম্মান করা হবে। সেই কারণেই তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হননি।

তিনি আরো বলেন, তার দাদা বিট্রিশ আমলে ইউনিয়ন পরিষদের দীর্ঘ দিন প্রেসিডেন্ট ছিলেন। এরপর, বাবা আবু মো: সাইদুর রহমান জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে রাজনীতি করে ১৯৭৩ সনে এমপি নির্বাচিত হন। পারিবারিক ভাবে রক্তে মিশে আছে আওয়ামী লীগ। কাজেই আওয়ামী লীগের কোনো ক্ষতি হয় এমন কাজ তিনি করবেন না।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে তার ভূমিকা কেমন হবে এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, যাকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে তিনি মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন, অথচ তিনি আমাকে একবারও বলেননি। গত বহস্পতিবার রাতে বাসায় এসে দলীয় প্রার্থী আব্দুস সালাম শুধু বলেছেন সব দিকে নৌকার জোয়ার বইছে। তোমার নেতকর্মীদের নির্দেশ দিয়ে দাও তারা যেন দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ করে। এর বাইরে তিনি কিছুই বলেননি। তবে আন্তরিকতার সাথে দলীয় প্রার্থী আমার সহযোগিতা চাইলে আমি মাঠে নেমে নৌকার পক্ষে কাজ করবো।