জুমবাংলা ডেস্ক : প্রতিবেশীদেশগুলোর চেয়ে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স পাঠাতে খরচ বেশি হয়। এছাড়া দক্ষিণ এশিয়ায় রেমিট্যান্স পাঠানোর সবচেয়ে কম খরচের পাঁচটি করিডরের কোনোটিতে নেই বাংলাদেশ । তবে এ অঞ্চলের সবচেয়ে ব্যয়বহুল পাঁচটি করিডরের তিনটি বাংলাদেশের।
বিশ্বব্যাপী অভিবাসন নিয়ে কাজ করা দ্য গ্লোবাল নলেজ পার্টনারশিপ অন মাইগ্রেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট-নোমাড-এর প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এ তথ্য। প্রতিবেদনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ২০০ ডলার পাঠানোর তুলনামূলক ব্যয়ের হিসাব তুলে ধরা হয়েছে।
এতে দেখা যায়, ২০২৩ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে মালয়েশিয়া থেকে ইন্ডিয়ায় রেমিট্যান্স প্রেরণে যেখানে খরচ পড়েছে ২ দশমিক ২ শতাংশ, সেখানে বাংলাদেশে খরচ পড়েছে ১২ দশমিক ১ শতাংশ। একই ভাবে সিঙ্গাপুর থেকে খরচ পড়েছে ১১ দশমিক ৭ শতাংশ এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স পাঠাতে খরচ পড়ে ১৩ দশমিক ৬ শতাংশ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে ২০০ মার্কিন ডলার প্রেরণে বিশ্বজুড়ে গড় ব্যয় ছিল ৬.৪ শতাংশ, যা এক বছর আগের ৬.২ শতাংশ থেকে কিছুটা বেশি। এটি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) ৩ শতাংশের দ্বিগুণের বেশি। তবে এ ক্ষেত্রে আশার বিষয় হচ্ছে, ২০২৩ সালে ডিজিটাল মাধ্যমে রেমিট্যান্স প্রেরণে খরচ হয়েছে ৫ শতাংশ। যেখানে গতানুগতিক মাধ্যমে খরচ পড়েছে ৭ শতাংশ। সে হিসাবে ডিজিটাল মাধ্যমে খরচ কমেছে ২ শতাংশ। বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রযুক্তিগত উন্নয়ন রেমিট্যান্স প্রেরণে খরচ কমিয়ে দিচ্ছে।
বাংলাদেশে গত বছর রেমিট্যান্স এসেছে ২২ দশমিক ১৬৮ বিলিয়ন ডলার, যা দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। গত বছর দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে তিন শতাংশের বেশি। তবে এ রেমিট্যান্স পাঠাতে প্রবাসীদের ব্যয় অনেক বেড়ে গেছে। বিশেষত গত বছরের শেষ প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) এ ব্যয় বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশে রেমিট্যান্স পাঠানোর ব্যয় দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর তুলনায় অনেক বেশি।
উল্লেখ্য, গত বছর রেমিট্যান্স আহরণে বিশ্বে সপ্তম স্থানে ছিল বাংলাদেশ। এর আগে ২০২১ সালে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স পেয়েছিল, যার পরিমাণ ছিল ২২ দশমিক ২০৬ বিলিয়ন ডলার। এরপর ২০২২ সালে তা তিন দশমিক ১৬ শতাংশ কমে দাঁড়ায় ২১ দশমিক ৫০৫ বিলিয়ন ডলার। তবে গত বছর তা আবার তিন দশমিক ০৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।