আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ঐতিহাসিকভাবে ইসরাইলের অস্ত্র আমদানি তাদের রপ্তানির চেয়ে অনেক বেশি। তবে এসআইপিআরআইয়ের তথ্য অনুসারে, গত দশকে দেশটির অস্ত্র রপ্তানি ধারাবাহিকভাবে আমদানিকে ছাড়িয়ে যেতে শুরু করেছে।
২০১৮ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে অন্তত ২৫ দেশ ইসরাইল থেকে মোট ৩ দশমিক ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের অস্ত্র আমদানি করেছে।
এর মধ্যে ইসরাইল থেকে সর্বোচ্চ ১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র কিনেছে ভারতে, যা দেশটির অস্ত্র রপ্তানির প্রায় এক-তৃতীয়াংশ।
২০১৪ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় আসার পর থেকে ইসরাইল ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক বিকশিত হয়েছে। ওই বছর ইসরাইলি অস্ত্রের দ্বিতীয় বৃহত্তম ক্রেতা ছিল আজারবাইজান (২৯৫ মিলিয়ন ডলার), তার পরে ফিলিপাইন (২৭৫ মিলিয়ন ডলার), যুক্তরাষ্ট্র (২১৭ মিলিয়ন ডলার) ও ভিয়েতনাম (১৮০ মিলিয়ন ডলার)।
২০১৮ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে ইসরাইল শুধু দুটি দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানি থেকে মোট ২ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র আমদানি করেছে।
এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইসরাইল ২ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র আমদানি করেছে, যা দেশটির সামরিক আমদানির তিন-চতুর্থাংশেরও বেশি। বাকি ৫৪৬ মিলিয়ন ডলারের অস্ত্র জার্মানি থেকে আমদানি করেছে দেশটি।
এ ছাড়া মার্কিন ও ইসরাইলি সামরিক বাহিনী যৌথ মহড়া, প্রযুক্তি উন্নয়ন কর্মসূচি ও প্রতিরক্ষা প্রকল্পে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে। মার্কিন সামরিক সহায়তার সর্বোচ্চ অংশ পায় ইসরাইল।
যুদ্ধ ও অস্ত্রের নিয়ে গবেষণা সংস্থা স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (এসআইপিআরআই) তথ্য অনুসারে, ২০২২ সালে ইসরাইল সামরিক খাতে ২৩ দশমিক ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করেছে।
২০১৮-২২ মেয়াদে সামরিক খাতে দেশটির মাথাপিছু ব্যয় দুই হাজার ৫৩৫ মার্কিন ডলার, যা বিশ্বে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মাথাপিছু সামরিক ব্যয়। এ মেয়াদে বিশ্বে মাথাপিছু সামরিক ব্যয়ের শীর্ষে কাতার।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।