আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দেশের চাহিদা পূরণ ও মূল্য সাধারণ মানুষের নাগালে রাখতে ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছে ভারত। বিশ্বের অন্যতম বড় পেঁয়াজ রপ্তানিকারক দেশ ভারতের এমন সিদ্ধান্তের বড় প্রভাব পড়বে বাংলাদেশে। কারণ ভারতীয় পেঁয়াজের বড় বাজার ছিল বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত থেকে প্রচুর পরিমাণে পেঁয়াজ নিত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমার এবং মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব, মালয়েশিয়া, তুরস্ক, স্পেন এবং চীনেও যেত ভারতের পেঁয়াজ।
ভারতীয় অর্থনীতিবিষয়ক সংবাদমাধ্যম মানিকন্ট্রোলের তথ্য অনুযায়ী, এই অর্থবছরের ১ এপ্রিল থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত ভারত ৯ দশমিক ৭৫ লাখ টন পেঁয়াজ রপ্তানি করেছে। এরমধ্যে সবার প্রথমেই আছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ও তৃতীয়স্থানে যথাক্রমে রয়েছে মালয়েশিয়া ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।
বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও নানান কারণে ভারতে অতিপ্রয়োজনীয় এ পণ্যের উৎপাদন হ্রাস পেয়েছে। আর উৎপাদন কম হওয়ায় স্থানীয় বাজারে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে এটি।
দাম অব্যাহতভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় চাপে পড়তে শুরু করে সরকার। এমন অবস্থায় ৬ মাস আগে পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়। এরপর রপ্তানি আরও কঠিন করে দিতে নির্দিষ্ট মূলও বেঁধে দেয় দেশটির সরকার। সবশেষে ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞাই আরোপ করল দেশটি। রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার কারণে ভারতে পেঁয়াজের দাম কমে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।