আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফেলো কড়ি মাখো তেল। দুনিয়ার সর্বত্র এখন এই নিয়ম কার্যকর। ট্রেনে বা বাসে যাতায়াতের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দিতে হয়। কিন্তু, এমনও দেশ রয়েছে যেখানে বাস বা ট্রেনে চড়ে যাতায়াত করলে যাত্রীদের কোনও গ্যাঁটের কড়ি খসাতে হয় না। বিশ্বের একমাত্র দেশেই চূড়ান্ত ব্যতিক্রমী এ ধরনের নিয়ম কার্যকর আছে।
বিনামূল্যে ট্রেন এবং বাসে ভ্রমণ! অবাস্তব শোনাচ্ছে? না, গল্প নয়- বিষয়টি একেবারে সত্যি। তবে, আমেরিকা, ব্রিটেন, চিন, রাশিয়া বা আরব দুনিয়ার মহা-সম্পদশালী কোনও দেশে এই নিয়ম নেই। তাহলে কোন দেশে এমন বৈপ্লবিক প্রথা চালু আছে?
বিশ্বের প্রথম দেশ লুক্সেমবার্গ যেখানে বিনামূল্যে দেশবাসী বিনামূল্যে ট্রেন বা বাসে চড়তে পারেন। ২০২০ সাল থেকে সে দেশের জেভিয়ার বিটল সরকার এই নিযম কার্যকর করে।
লুক্সেমবার্গ হল ইউরোপের একটি ছোট্ট দেশ। দেশের নামেই রয়েছে রাজধানী, নাম হল লুক্সেমবার্গ সিটি। কিন্তু এই শহরে ট্রাফিক জ্যাম খুব বড় একটি সমস্যা ছিল। তৎকালীন সময়ে ১ লক্ষ ১০ হাজার বাসিন্দার এই শহরে রোজ ৪ লক্ষ লোক কাজ করতে বা বিভিন্ন দরকারে আসতেন। ফলে যানজট ছিল এই শহরের বড় সমস্যা। সেই জন্যই পরিবহণ ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজায় লুক্সেমবার্গের সেই সময়কার ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রধানমন্ত্রী বিটল।
নিয়ম অনুসারে লুক্সেমবার্গে শিশু ও ২০ বছরের কম বয়সীদের বাসে, ট্রেনে ও ট্রামে চড়ার জন্য কোনও পয়সা খরচ করতে হয় না। সেকেন্ডারি স্কুলের ছাত্ররা স্কুল থেকে বাড়ি যাওয়ার জন্য বিনামূল্যে শাটল পায়।
প্রবল সম্পদশালীদেশগুলির তালিকায় রয়েছে ইউরোপ মহাদেশের লুক্সেমবার্গের নাম। ইউরোপীয় ইউনিয়নে লুক্সেমবার্গের মাথাপিছু জিডিপি সর্বোচ্চ ৮৯,৮০০ ইউরো, যা ইউরোপীয় ইউনিয়নের গড়ের (৩৭,৬০০ ইউরো) থেকে অনেক বেশি। এটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের মোট জিডিপির ০.৬ শতাংশ।
২০২৪ সালে লুক্সেমবার্গকে আন্তর্জাতিক বিশ্ব ব্যাঙ্ক দুনিয়ার সর্বোচ্চ মাথাপিছু জিডিপি দেশ হিসাবে ঘোষণা করে, শহরটি একটি ব্যাংকিং এবং প্রশাসনিক কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। ২০১৯ সালে মার্সারের ২৩১টি শহরের উপর পরিচালিত বিশ্বব্যাপী সমীক্ষায়, ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য এই দেশ প্রথম স্থান অধিকার করে। নাগরিকদের জীবযাত্রীর মানের নিরিখে এই দেশ ১৮তম স্থানে রয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।