মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি : বিদেশে ভালো চাকরির আশ্বাসে সৌদি আরব পাঠানো হয়েছিল এক যুবককে। কিন্তু সেখানে গিয়ে কাজ না দিয়ে তাঁকে বন্দি করে রাখা হয় অন্ধকার একটি কক্ষে। এরপর চলে শারীরিক নির্যাতন ও মুক্তিপণের জন্য চাপ। দেশে ফিরে প্রতারণার অভিযোগে মামলা করলে গ্রেফতার হয় এক দম্পতি। পরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার মেঘশিমুল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গ্রেফতার দম্পতিরা হলেন—বিশু মিয়া (৬০) ও তাঁর স্ত্রী মমতাজ বেগম। বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) রাতে নিজ বাড়ি থেকে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী মো. মামুন মিয়া মানিকগঞ্জ সদর থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় ছয়জনকে আসামি করা হয়।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন—বিলকিস বেগম, তাঁর স্বামী রনি মিয়া, ভাই আবু সুফিয়ান, বোন রোকসানা বেগম এবং বাবা-মা বিশু মিয়া ও মমতাজ বেগম।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ৯ ফেব্রুয়ারি প্রতিবেশী বিলকিস বেগমের মাধ্যমে ৬ লাখ টাকা দিয়ে সৌদি আরব যান মামুন মিয়া। সেখানে গিয়ে তিনি প্রতিশ্রুত কাজ না পেয়ে একটি অন্ধকার ঘরে আটকে পড়েন।
পরে বিলকিসের স্বামী রনি মিয়া ও ভাই আবু সুফিয়ান তাঁকে মারধর করেন এবং হত্যার হুমকি দেন।
জীবন বাঁচাতে মামুনের পরিবার বাড়ি বিক্রি ও ধারদেনা করে আরও সাড়ে ৪ লাখ টাকা পাঠায়। এরপর ১৩ মে দেশে ফিরে আসেন তিনি।
দেশে ফিরে তিনি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে বিষয়টি জানান। তবে অভিযুক্তদের পরিবার কোনো ব্যবস্থা নেয়নি, বরং তাঁকে হুমকি দেওয়া হয়।
ভুক্তভোগী মামুন মিয়া বলেন, “আমি ন্যায়বিচার চাই। যেন আর কেউ আমার মতো প্রতারণা ও নির্যাতনের শিকার না হয়।”
মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস.এম আমান উল্লাহ বলেন, “মামলার পর রাতেই অভিযুক্ত দম্পতিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।”
মামলার বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলে জানান তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।