বিনোদন ডেস্ক : বলিউডে অনেক সম্পর্কই রূপকথার মতো মিলনান্তক। আবার বেশ কিছু এমন সম্পর্কও তৈরি হয়েছে, যা ভেঙে গিয়েছে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে। মানসিক চাপ থেকে শুরু করে জটিলতা পৌঁছেছে অন্য খাতে। অভিঘাতের জেরেই কোনও কোনও সম্পর্ক গোপন থাকেনি। বিচ্ছেদই পরিণতি হয়েছে সেই সব সম্পর্কের।
কাদের মধ্যে ছিল এমন গোপন প্রেম? রইল চেনা-অচেনা কিছু নাম।
মাধুরী দীক্ষিত-সঞ্জয় দত্ত
নব্বইয়ের দশকের জনপ্রিয় এই দুই নায়ক-নায়িকার সম্পর্ক বলিপাড়ায় চর্চার কেন্দ্রে ছিল। একসঙ্গে বেশ কিছু ছবিতে কাজ করেছেন তাঁরা। সেখান থেকেই শুরু গভীর অন্তরঙ্গতার। এতটাই গভীর হয়েছিল তাঁদের সম্পর্ক, যে বিয়ে করার চিন্তাভাবনা করছিলেন তাঁরা। কিন্তু সঞ্জয় দত্ত টাডা আইনে গ্রেফতার হয়ে জেলে গেলে তাঁদের সম্পর্ক আর এগোয়নি। মাধুরী দীক্ষিত নিজেও এই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসেন।
ডিম্পল কাপাড়িয়া-সানি দেওল
মনের দিক থেকে ডিম্পল কাপাড়িয়া চিরতরুণ। তাঁর সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল বলিউড সুপারস্টার রাজেশ খন্নার। মাত্র সতেরো বছর বয়সে ডিম্পল জন্ম দেন কন্যা টুইঙ্কলের। কিন্তু এই সম্পর্কে সুখী ছিলেন না অভিনেত্রী। বয়সে অনেকটা ছোট, সানি দেওলের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি, এমন গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল বলিউডে। যদিও সে সম্পর্কও সফল হয়নি।
অজয় দেবগন-কঙ্গনা রানাউত
দীর্ঘ দিন সম্পর্কে ছিলেন অভিনেতা অজয় দেবগন এবং অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত। সার্থক কোনও পরিণতি পায়নি তাঁদের প্রেম। গোপনীয়তা বজায় থাকলেও বলিউডের অন্দরে দীর্ঘ কাল এই সম্পর্ক নিয়ে চর্চা হয়েছে।
অক্ষয় কুমার- প্রিয়ঙ্কা চোপড়া
‘অ্যায়তরাজ’ ছবিতে পর্দায় তাঁদের চমৎকার রসায়ন নজর কেড়েছিল দর্শকের। ছবির চেয়েও বেশি ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়েছিলেন তাঁরা ব্যক্তিগত জীবনে— বলিউডের আনাচেকানাচে রটে গিয়েছিল সেই খবর। এই নৈকট্য বিব্রত করেছিল অক্ষয়ের স্ত্রী টুইঙ্কলকে। কিন্তু আনুষ্ঠানিক ভাবে কখনওই তাঁরা সম্পর্কের কথা স্বীকার করেননি।
শাহিদ কপূর-সোনাক্ষী সিনহা
মীরাকে বিয়ে করার আগে শাহিদ কপূর একটি ছবি করেছিলেন সোনাক্ষী সিনহার সঙ্গে। শোনা যায়, এই ছবি করতে গিয়েই পরস্পরের কাছাকাছি আসেন দু’জনে, তৈরি হয় ঘনিষ্ঠতা। কিন্তু শেষ অবধি এই সম্পর্ক সার্থক পরিণতি পায়নি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।