লাইফস্টাইল ডেস্ক : গরুর কলিজা, ফুসফুস, মগজ, ভুঁড়ি, জিহ্বা, কিডনি, গুর্দাকে ‘অর্গান মিট’ বলা হয়। অর্গান মিটের অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা থাকা সত্ত্বেও অনেকেই এগুলো খেতে চান না। অর্গান মিট খেয়েও পুষ্টির অভাব কমিয়ে আনা সম্ভব। উদাহরণস্বরূপ, ৪ আউন্স গরুর কলিজায় ২৩ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়। এখানে অর্গান মিটের কিছু চমকপ্রদ উপকারিতা উল্লেখ করা হলো।
অর্গান মিটের স্বাস্থ্য উপকারিতা
অ্যালঝেইমার্স রোগের ঝুঁকি কমায়: গরুর কলিজায় ভিটামিন বি-১ তথা থিয়ামিন রয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, থিয়ামিন স্মৃতিভ্রংশ রোগ অ্যালঝেইমার্সের রিস্ক ফ্যাক্টর প্রতিরোধ করতে পারে। যেমন স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়া।
শক্তি বাড়ে: গরুর কলিজা ও কিডনিতে প্রচুর আয়রন থাকে। অনেকেই আয়রন ঘাটতিতে ভোগেন। আয়রন ঘাটতির অন্যতম প্রধান উপসর্গ হলো- ক্লান্তি বা দুর্বল অনুভব করা। গবেষকদের মতে, শরীরের শক্তি বাড়াতে আয়রনসমৃদ্ধ খাবারের প্রয়োজন আছে। তাই আয়রন ঘাটতি মিটিয়ে সতেজ হতে চাইলে কলিজার মতো আয়রনসমৃদ্ধ অর্গান মিট খেতে পারেন।
ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়: ভিটামিন বি-১২ হলো ‘বি’ ভিটামিন পরিবারের একটি গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। এই পুষ্টি শরীরকে কয়েক ধরনের ক্যানসার থেকে সুরক্ষা দিতে পারে। গরুর কলিজায় যথেষ্ট মাত্রায় ভিটামিন বি-১২ রয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, এই ভিটামিন ফুসফুস ক্যানসার ও কোলোরেক্টাল ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। ভিটামিন বি-১২’র ঘাটতির সঙ্গে খাদ্যনালিতে ক্যানসারের যোগসূত্রও পাওয়া গেছে।
হৃদরোগ প্রতিরোধ করে: গরুর ভুঁড়ি ব্যতীত অন্যান্য অংশে উচ্চ পরিমাণে ভিটামিন বি-১২ রয়েছে। ভিটামিন বি-১২ রক্তে হোমোসিস্টেনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। উচ্চ মাত্রার হোমোসিস্টেন হলো রক্তনালি ও হৃদরোগের রিস্ক ফ্যাক্টর।
রোগদমন তন্ত্রকে শক্তিশালী করে: অর্গান মিট খেলে শরীরের রোগদমন তন্ত্র তথা ইমিউন সিস্টেম উপকৃত হয়। অনেক অর্গান মিটে উচ্চ মাত্রায় জিংক রয়েছে। যেমন কলিজা, কিডনি ও গুর্দা। রোগদমন তন্ত্রের সঠিক কার্যাবলির জন্য জিংকের প্রয়োজন আছে। গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব লোকের জিংক ঘাটতি ছিল তাদের করোনায় সংক্রমণ হওয়ার প্রবণতা বেশি ছিল।
অর্গান মিটের ঝুঁকি
উচ্চ কোলেস্টেরল: নিঃসন্দেহে অর্গান মিট পুষ্টিকর খাবার, কিন্তু এতে প্রচুর পরিমাণে কোলেস্টেরলও রয়েছে। বিশেষ করে কলিজা ও গুর্দায় কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি। উচ্চ কোলেস্টেরলকে হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের ঝুঁকিবর্ধক বিবেচনা করা হয়। তাই সীমিত পরিমাণে অর্গান মিট খাওয়াই ভালো।
গেঁটেবাত: গেঁটেবাতে ভুক্তভোগীদের অর্গান মিট এড়িয়ে যাওয়া উচিত। কারণ এতে উচ্চ মাত্রায় পিউরিন রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, গেঁটেবাতে আক্রান্ত লোকেরা পিউরিনসমৃদ্ধ খাবার খেলে জয়েন্টের ড্যামেজ আরো বেড়ে যায়।
হিমোক্রোমাটোসিস: যেসব লোকের হিমোক্রোমাটোসিস বা আয়রন ওভারলোড ডিজিজ শনাক্ত হয়েছে তাদের আয়রনসমৃদ্ধ অর্গান মিট এড়িয়ে চলা বা সীমিত করা উচিত। হিমোক্রোমাটোসিস এমন একটা রোগ, যখন রক্তে আয়রনের মাত্রা অত্যধিক থাকে। এ সময় আয়রনসমৃদ্ধ খাবার খেলে অবস্থা আরো শোচনীয় হতে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।