জুমবাংলা ডেস্ক: সিরাজগঞ্জে যমুনার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় অভ্যন্তরীণ নদ-নদীর পানি বাড়ছে। শাহজাদপুর, পাবনা, নাটোর ও সিরাজগঞ্জের ৮ উপজেলার প্রায় ৪৫ হাজার হেক্টর ফসলের মাঠ ও গো-চারণ ভূমি বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। ফলে পবাদি পশু নিয়ে খামারিরা বিপাকে পড়েছেন।
গো-খাদ্যের মূল্য অস্বাভাবিক বৃদ্ধিতে এমনিতেই খামারিরা হিমশিম খাচ্ছে, তার ওপর গো-চারণ ভূমি বন্যা কবলিত হওয়ায় তাদের বিপদ আরও বেড়েছে।
স্থানীয় প্রাণি সম্পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে, শাহজাদপুর উপজেলায় ৭ হাজার গবাদি খামার রয়েছে। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ৭০ হাজার গবাদি পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। আর মাত্র কয়েকদিন পরই পশু বিক্রি শুরু হবে। এ অবস্থায় কাঁচা ঘাসের অভাব খামারিদের মহাবিপদে ফেলেছে।
এ বিষয়ে রাউতারা গ্রামের মামুন, তুহিন ও টুলি বেগম জানান, উজানের ঢল ও অতিবর্ষণে গত কয়েকদিন ধরে শাহজাদপুর উপজেলার করতোয়া, বড়াল, হুরাসাগরসহ সব নদ-নদীর পানি হু হু করে বাড়ছে। শুক্রবার রাতে শাহজাদপুর উপজেলার পোতাজিয়া ইউনিয়নের রাউতারা স্লুইসগেট সংলগ্ন রিং বাঁধ ভেঙে যায়। এতে ফসলের মাঠ ও গো-চারণ ভূমি বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। ঘাসের জমি ডুবে যাওয়ায় গো-খাদ্যের সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া তিল, কাউন, বাদাম, ভুট্টা, শাক-সবজি ও নেপিয়ার ঘাসের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। গ্রামের কাঁচা রাস্তা বন্যার পানিতে ডুবে যাওয়ায় চলাচলে দুর্ভোগ বেড়েছে।
এ বিষয়ে শাহজাদপুর উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মিজানুর রহমান জানান, গোচারণ ভূমি বন্যা কবলিত হওয়ায় খামারিদের ঘাসের অভাব দেখা দিয়েছে। বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। সরকারি কোনো সহযোগিতা পেলে খামারিদের মধ্যে বিতরণ করা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।