আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফাটল ধরেছে আফ্রিকার পূর্বদিকের এক মরুভূমিতে। ৩৫ মাইল লম্বা এলাকা জুড়ে রয়েছে সেই বিশাল ফাটল। ২০০৫ সালে এর খোঁজ পাওয়া যায়। এর ভিত্তিতেই নতুন আশঙ্কার কথা শোনালেন গবেষকরা। সম্প্রতি এক গবেষণায় উঠে এলো চমকে দেয়ার মতো তথ্য। ওই ফাটল বরাবর নাকি দু’ভাগে ভাগ হয়ে যাবে আফ্রিকা। এমনই ভবিষ্যৎ বাণী করলেন একদল গবেষক। জিওফিজিক্যাল রিসার্চ লেটার্সে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সেখানেই গবেষকরা এমন তথ্য জানান।
আফ্রিকার পূর্ব দিকে লোহিত সাগরের কাছেই ওই মরুভূমি। ২০০৫ সালে ইথিওপিয়ার মরুভূমিতে ফাটলটি হয়। ইস্ট আফ্রিকান রিফ্ট ভ্যালি নামে পরিচিত ওই এলাকা। ৩৫ মাইল দীর্ঘ ওই ফাটল বরাবরই ভাগ হয়ে যাবে এই বিশাল মহাদেশ।
মহাদেশের দু’ভাগ হওয়ার আসল কারণ কী?
বিজ্ঞানীদের কথায়, ওই ফাটল বরাবর ফাটল ধরেছে সমুদ্রে নিচে থাকা টেকটনিক প্লেটেও। একই রকম ফাটল ধরায় দূরে সরে যাচ্ছে দুটি প্লেট। মহাদেশের মাঝামাঝি এই চিড় বাড়বে দিন দিন। তারপর এক সময় ভাগ হয়ে যাবে গোটা মহাদেশটাই। তৈরি হবে নতুন সমুদ্র, নতুন একটি মহাদেশ।
কী ঘটছে সমুদ্রের তলায়?
সমুদ্রের তলায় ওই অংশে রয়েছে তিনটি বড় টেকটনিক প্লেট। এই টেকটনিক প্লেট নাড়াচাড়া করলেই ভূমিকম্প হয়। গবেষকদের মতে তিনটি প্লেটের মধ্যে দূরত্ব বাড়বে ভবিষ্যতে। একদিকে রয়েছে আরবিয় প্লেট। অন্যদিকে আফ্রিকান সোমালি ও আফ্রিকান নাবিয়ান। এই তিনটি প্লেট সংযোগস্থলে অর্থাৎ তিন মাথার মোড়েই ফাটল ধরেছে অনেকটা। এই ফাটল যত বড় হবে, আফ্রিকা ভেঙে তৈরি হবে অন্য এক মহাদেশ। কত দিন পর এই ঘটনার ঘটার আশঙ্কা? গবেষকদের কথায় লাখ লাখ বছর লেগে যাবে। প্রতি বছর এক ইঞ্চি করে সরছে প্লেটগুলি। সেই হিসাবে অনেকটাই দেরি আছে।
সূত্র : হিন্দুস্থান টাইমস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।