লাইফস্টাইল ডেস্ক : সময়ে সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারকারীর সংখ্যা। সাধারণত কোনো কিছুর মূল্য পরিশোধের ক্ষেত্রে মানুষ এই কার্ড দুইটি সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করে থাকে। দোকান থেকে কেনাকাটা থেকে শুরু করে অনলাইনে পণ্য কেনার ক্ষেত্রেও এই কার্ড দুইটি ব্যবহৃত হচ্ছে।
মানিব্যাগে টাকা বহন করার চেয়ে পাতলা প্লাস্টিকের এই কার্ড ব্যবহার করার সুবিধাও অনেক। কেননা, বর্তমানে এ কার্ডগুলো ব্যবহার করে অর্থ ওঠানোর সুব্যবস্থা সবখানেই রাখা হয়েছে। যে কোনো জায়গায় থাকা বিভিন্ন ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে সহজেই অর্থ উঠাতে পারেন ব্যবহারকারীরা।
কেবল তাই নয়, কার্ড দুই দেখতেও অনেকটা একই রকম। উভয় কার্ডই ১৬ সংখ্যার নম্বর বিশিষ্ট। পাশাপাশি থাকে মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ, সিভিভি কোড এবং ইএমভি চিপ। তবে দেখতে এক রকম হলেও কার্ড দুইটির মধ্যে বেশ পার্থক্য রয়েছে। কার্ড দুইটির ব্যবহারকারী বাড়লেও অনেকেই এখনও জানেন না, এই কার্ডের কাজের পার্থক্য কী? এই প্রতিবেদনে সেই পার্থক্যই তুলে ধরা হবে।
ডেবিট কার্ড কী?
শুরুতেই জানা যাক, ডেবিট কার্ড কী? যদি সহজ ভাষায় বলা হয়, সেক্ষেত্রে যে কার্ডে নিজের জমানো টাকা থাকে, সেটিই হচ্ছে ডেবিট কার্ড। ব্যবহারকারীর কারেন্ট অ্যাকাউন্ট বা সেভিংস অ্যাকাউন্টের বিপরীতে ব্যাংকের দেয়া কার্ড হচ্ছে ডেবিট কার্ড। অর্থাৎ, এই কার্ড ব্যবহার করে আপনি ওই পরিমাণ অর্থই ব্যয় করতে পারবেন, যে পরিমাণ অর্থ আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে রয়েছে। আপনি এই কার্ড ব্যবহার করে কোনো বিল পরিশোধ করলে, ওই অর্থ আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে সরাসরি কেটে রাখা হবে।
সাধারণত ডেবিট কার্ড ব্যবহার করে নগদ অর্থ তোলার ক্ষেত্রে কোনো ফি কেটে রাখে না ব্যাংকগুলো। বিশেষ করে, যদি আপনি আপনার ব্যাংকের এটিএম ব্যবহার করে লেনদেন করে থাকেন। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে অন্য ব্যাংকের এটিএম থেকে অর্থ উত্তোলনের ক্ষেত্রে কিছু ফি কেটে রাখা হয়।
ব্যাংকভেদে ডেবিট কার্ডে দৈনিক বিল পরিশোধ এবং নগদ অর্থ তোলার একটি সীমা আরোপ করা থাকে। তাছাড়া আপনার ডেবিট কার্ড ব্যবহার করা আপনাকে কোনো ধরনের ক্রেডিট স্কোর তৈরিতে সহায়তা করবে না। তবে ক্ষেত্রেবিশেষে, নির্দিষ্ট ব্যাংকের ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে পেমেন্ট করলে ক্যাশব্যাক ও ডিসকাউন্ট পাওয়া যায়। আবার কিছু কিছু ডেবিট কার্ডে কম বা শূন্য চার্জ থাকে।
ডেবিট কার্ডের ক্ষেত্রে ব্যাংকভেদে আপনার অ্যাকাউন্টে আপনাকে একটি ন্যূনতম ব্যালেন্স রাখতে হবে। তবে কার্ডটি যদি আপনার বেতন অ্যাকাউন্টের সঙ্গে কানেক্টেড থাকে, সেক্ষেত্রে আপনার ন্যূনতম ব্যালেন্স রাখার প্রয়োজন হবে না।
ক্রেডিট কার্ড কী?
ধারে জিনিস কেনার আধুনিক রূপ হচ্ছে ক্রেডিট কার্ড। ব্যাংক এবং কয়েকটি ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান সাধারণত ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করে থাকে। তবে অন্যান্য অনুমোদিত সংস্থাও এই কার্ডগুলো ইস্যু করতে পারে। এই কার্ডের মূল সেবা হচ্ছে- আপনি এখন একটি জিনিস কিনলেন এবং পরে অর্থ পরিশোধ করে দিলেন। আপনি যখন ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে অর্থ প্রদান করবেন, তখন ব্যাংক আপনাকে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ঋণ বা ক্রেডিট দিবে এবং আপনাকে অবশ্যই ওই নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে ওই অর্থ ব্যাংককে পরিশোধ করতে হবে।
আবার ক্রেডিট লিমিট বা কত টাকা পর্যন্ত খরচ বা উত্তোলন করা যাবে সেটি সাধারণত গ্রাহকের মাসিক আয়ের ভিত্তিতেই ব্যাংকগুলো হিসেব করে। তবে বিভিন্ন ব্যাংকের ভিন্ন ভিন্ন নীতি থাকার কারণে ক্রেডিট লিমিট সব ব্যাংকের একই নাও হতে পারে। আপনি যদি সময়মতো বিল পরিশোধ করেন, তাহলে ক্রেডিট কার্ড আপনাকে একটি ভালো ক্রেডিট স্কোর তৈরিতে সাহায্য করতে পারে।
ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে আপনি পিওএস টার্মিনাল বা ই-কমার্সের পণ্য ও পরিষেবা কিনতে পারবেন। আবার ক্ষেত্রবিশেষে, আপনি এটি দেশের অভ্যন্তরের পাশাপাশি দেশের বাইরেও ব্যবহার করতে পারবেন।
সংসদে প্রধানমন্ত্রী কন্যাকে নিয়ে যে প্রশ্ন তুললেন ব্যারিস্টার সুমন
যদিও এই কার্ড ব্যবহার করে এটিএম বুথ থেকে নগদ অর্থ উত্তোলন করা যায়, কিন্তু এটি না করাই ভালো। কারণ আপনি যে পরিমাণ অর্থ উত্তোলন করবেন, তার উপর ভিত্তি করে আপনাকে একটি ফি চার্জ করা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।