আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বর্তমানে প্রযুক্তির অন্যতম অভিশপ্ত দিক ‘ডিপফেক ভিডিও’। সম্প্রতি বলিউড অভিনেতা ও অভিনেত্রীদের নিয়েও ডিপফেক ভিডিও বেশ আলোচিত হয়। এবার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে তৈরি ডিপফেক ভিডিও-র ফাঁদে পড়েছেন এক নারী।
ভুক্তভোগী ওই নারীর নাম জিয়ং জি সান। তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার বাসিন্দা।
জানা গেছে, ওই নারী মার্কিন উদ্যোক্তা, প্রকৌশলী ও আবিষ্কারক ইলন মাস্কের বড় ফলোয়ার। হঠাৎ ইনস্টাগ্রামে তার কাছে ইলন মাস্কের ফোন আসে। সেখানে তিনি ওই নারীকে কাছে প্রেমের প্রস্তাব দেন। সেই প্রেমে অন্ধবিশ্বাসে খোয়ান অর্ধকোটি টাকা।
জিয়ং জি সান দক্ষিণ কোরিয়ার কেবিএস ব্রডকাস্টকে জানিয়েছেন, ২০২৩-এ ইলন মাস্ক তাকে ইন্সটাগ্রামে ফলো করা শুরু করেন। প্রথমদিকে তার মনে সন্দেহ জেগেছিল। কিন্তু এরপর ফোন আসার পর তিনি আর সন্দেহ করেননি।
জিয়ং জি সান বলেন, গত বছর আমার মনে হয়েছিল যেন আমার এক স্বপ্ন পূরণ হয়েছিল। গত বছরের ১৭ জুলাই, ইলন মাস্ক আমাকে বন্ধু হিসাবে যুক্ত করেন। তার বায়োগ্রাফি পড়ার পর আমি ইলনের বিশাল ফ্যান হয়েছিলাম। যদিও তার ওই অ্যাকাউন্ট দেখে আমার মনে সন্দেহ জাগে।
ভুক্তভোগী নারী আরও জানান, তারপর থেকে ইলন মাস্ক তাকে ফোন করত। সেটা ভিডিও কল আসত। শুধু তাই নয়, ইলন মাস্ক নাকি টেসলা, স্পেসএক্স অফিস, হেল্টিকপ্টারে ঘুরতে নিয়ে যাওয়া নিয়ে নানা কথা বলেন। এমনকি ইলন তার সঙ্গে অফিস থেকে ছবি শেয়ার করেছেন। ২০২৩ সালে এপ্রিলে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তার দেখা হওয়ার ঘটনাও তিনি জানান। এতকিছু ঘটনা তাকে বিশ্বাস করতে বাধ্য করেছিল যে, ওই ব্যক্তি ইলন মাস্ক-ই।
তিনি আরও জানান, ভিডিও কলের মাধ্যমে ইলন মাস্ক সেজে তাকে বলেন, আমি তোমাকে ভালোবাসি। তুমি কি এটা জানো।
যদিও ওই ব্যক্তি ইলন মাস্ক নন। সে আসলে ইলনের ডিপফেক ভিডিও। ইলন মাস্কের ডিপফেক ভিডিওর মাধ্যমে প্রতারক ওই নারীকে একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে প্রায় ৫২ লাখ টাকা বিনিয়োগ করতে রাজি করেছিল। যেই অ্যাকাউন্টটি নাকি ইলনের কোরিয়ার কর্মচারীর। প্রতারক ওই নারীকে বলেছিলেন, টাকা বিনিয়োগ করলে তিনি অনেক ধনী হয়ে যাবেন। পরে যখন ওই নারী তার কোনও টাকা ফেরত পাননি। তখন তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।