আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পাকিস্তান ও ভারতের সেনাবাহিনীর মধ্যে ডিজিএমও (ডিরেক্টর জেনারেল অব মিলিটারি অপারেশন) পর্যায়ে প্রথম দফার আলোচনার কথা নিশ্চিত করা হয়েছে। সোমবার, ১২ মে তারিখে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায় যে, এই আলোচনা সামরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি বিরল উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
দক্ষিণ এশিয়ার এই দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে সামরিক উত্তেজনা তীব্র হয়ে ওঠার পর, সরাসরি হটলাইন যোগাযোগ স্থাপন করা হয়েছে।
যুদ্ধবিরতি ও সামরিক উত্তেজনা
১০ মে, পাকিস্তান ও ভারত পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন, যা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রথমে ঘোষণা করেন। এরপর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর এবং মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এটি নিশ্চিত করেন। এই সিদ্ধান্ত সীমান্তে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, ড্রোন অনুপ্রবেশ এবং সামরিক অভিযানের পর নেওয়া হয়েছে।
পাকিস্তান-ভারত উত্তেজনার সূচনা
২২ এপ্রিল, ভারত-অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরের পাহেলগামে ভয়াবহ হামলায় ২৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হন। ভারত এই হামলার জন্য পাকিস্তানভিত্তিক সন্ত্রাসী সংগঠনগুলিকে দায়ী করলেও প্রমাণ উপস্থাপন করেনি। এর পর, পাকিস্তান এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে এবং ভারত নানা সামরিক পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক ভূমিকা
এই সংকট সমাধানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স উভয় দেশের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেন। ট্রাম্পের ঘোষণার পর, দুই দেশই সামরিক অভিযান স্থগিত করে, তবে সীমান্তে সংঘর্ষবিরতির লঙ্ঘনের অভিযোগ এখনও রয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।