প্রয়োজনে দ্রুত অর্থ পাবার সুযোগ থাকায় দেশে দিনকে দিন বেড়েই চলেছে ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার। বর্তমানে দেশে ৪০টির মতো ব্যাংক এই সেবা দিচ্ছে। এ কারণে এর গ্রাহকও দিন দিন বাড়ছে। ক্রেডিট কার্ড জীবনকে সহজ করলেও এর ভুল ব্যবহারের কারণে অনেকেই অনেকেই পা দিচ্ছেন ঋণের ফাঁদে। সময়মতো বিল না দেয়া, অতিরিক্ত খরচ, একাধিক কার্ড ব্যবহারের মতো কারণে দ্রুত ফুলে–ফেঁপে ওঠে ঋণের পরিমাণ। তাই ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারে সচেতনতা অত্যন্ত জরুরি।
যেসব ভুলে ঋণের ফাঁদে পড়েন ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারকারীরা:
বাজেটের বাইরে খরচ
রিওয়ার্ড পয়েন্ট ও অফারের লোভে অনেকেই ক্রেডিট কার্ডে অতিরিক্ত খরচ করেন। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, মাসিক আয়ের সর্বোচ্চ ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশের বেশি যেন কার্ডে খরচ না হয়। বাজেটের বেশি খরচ করলে আপনার ওপর চাপ বাড়বে।
শুধু ন্যূনতম টাকা পরিশোধ
প্রতি মাসে কেবল ন্যূনতম পরিশোধ করলে সুদ বাড়তে থাকে। বার্ষিক সুদের হার তরতর করে বেড়ে যায়। এতে ঋণ দ্রুত ফুলে ওঠে। তাই ন্যূনতম পরিশোধ নয়, সামর্থ্য অনুযায়ী পরিশোধ করুন।
একাধিক কার্ড ব্যবহার
বেশি কার্ড ব্যবহারে আসল ঋণ আড়াল হয়, ফলে পরিশোধ জটিল হয়ে ওঠে। এক কার্ডের ঋণ মেটাতে অন্য কার্ড ব্যবহার করা আরও বিপজ্জনক। এটি এড়িয়ে চলুন।
বিল পরিশোধে দেরি
বিলম্বে পরিশোধ করলে জরিমানা, ক্রেডিট স্কোর কমে যাওয়া ও সুদমুক্ত সময় হারানোর ঝুঁকি থাকে। তাই সময়সীমা অবহেলা করা যাবে না।
কার্ড থেকে নগদ অর্থ তোলা
এটিএম থেকে টাকা তুললে সঙ্গে সঙ্গে সুদ আরোপ হয়। সুদমুক্ত–সুবিধাও বাতিল হয়ে যায়। জরুরি না হলে নগদ টাকা তোলা উচিত নয়।
নানা অফারে ফেঁসে যাওয়া
খরচহীন ইএমআই বা বাই নাউ পে লেটার, এ ধরনের অফার অনেক সময় আপনার জন্য সব সময় লাভজনক না–ও হতে পারে। লুকানো চার্জ ও যৌগিক সুদে ঋণ বেড়ে যায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।