সেন্টার ফর রিচার্জ এন্ড ইনফরমেশন প্রতিষ্ঠানটি আওয়ামী লীগের গবেষণা শাখা হিসেবে পরিচিত। সংক্ষেপে এটিকে সিআরআই বলে। রেহানা পুত্র ববি এটির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। স্বাধীনভাবে মত প্রকাশকে বাধাগ্রস্থ করতে সব ধরনের অপকর্মের কৌশল নিয়েছিল এ প্রতিষ্ঠান।
দুর্নীতি দমন কমিশন জানিয়েছে যে, এ প্রতিষ্ঠানের নামে 35 কোটি 21 লাখ টাকার এফডিআর রয়েছে। এ এফডিআরটি আইএফআইসি ব্যাংকে করা হয়েছে। দ্রুত বর্তমানে সেন্ট্রাল ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ পেয়েছে এবং তা শক্তভাবে তদন্ত করছে।
এ তদন্তের অংশ হিসেবে তারা অভিযান পরিচালনা করছে। অভিযানের সময় দেখা যায় যে, প্রতিষ্ঠানটির অফিস বন্ধ। তবে ফিক্সড ডিপোজিট রিসিটটি তাদের হাতে ধরা পড়েছে। এ প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান হিসেবে কাজ করতেন সজীব ওয়াজেদ জয়।
পাশাপাশি ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন সাইমা ওয়াজেদ পুতুল। রেহানাপুত্র রাদওয়ার মুজিব সিদ্দিক ববি ট্রাস্টি হিসেবে কাজ করতেন। উনার সাথে আরো ছিলেন নসরুল হামিদ।
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে দুদক মহাপরিচালক আখতার হোসেন এসব কথা জানান। তিনি বলেছেন, সিআরআইয়ের পরিচালনা পর্ষদ বিভিন্ন রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য রাষ্ট্রীয় তহবিলের অপব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর ভিত্তিতে একটি অভিযান চালানো হয়।
অভিযান চলাকালে দুদক দল ডাচ-বাংলা ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংকসহ বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে সিআরআইয়ের ব্যাংকিং রেকর্ড সংগ্রহ করে। দুদক এখন সংগৃহীত নথি ও আর্থিক লেনদেনের তথ্য বিশ্লেষণ করবে বলে জানান সংস্থাটির এ মহাপরিচালক।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।