স্পোর্টস ডেস্ক : ভারতীয় তারকা ক্রিকেটার ঋদ্ধিমান সাহার সাক্ষাৎকার চেয়েও না পেয়ে ব্ল্যাকমেইল করার হুমকি দিয়েছিলেন স্বদেশি এক সিনিয়র সাংবাদিক। শুরুর দিকে সেই সাংবাদিকের নাম প্রকাশ করতে চাননি তারকা ক্রিকেটার। তিনি শুধু সাংবাদিকের টুইটের স্ক্রিনশট প্রকাশ করেন।
পশ্চিম বাংলার সাংবাদিক বোরিয়া মজুমদার কিছুদিন চুপ থেকে নিজেই ঋদ্ধিমান সাহার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেন।
বিষয়টি নিয়ে তদন্তের সিদ্ধান্ত নেয় ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই)। তিন সদস্যের কমিটি এ ঘটনায় বোরিয়ার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের সত্যতা খুঁজে পেয়েছে বিসিসিআই। আর এ কারণে দুই বছরের জন্য তাকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তও নেওয়া হচ্ছে।
বিসিসিআইয়ের এক শীর্ষ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে দ্য সানডে এক্সপ্রেসকে বলেছেন, আমরা ভারতের ক্রিকেট বোর্ডের সব রাজ্য সংস্থাকে জানিয়ে দেব, বোরিয়া মজুমদারকে যেন কোনো স্টেডিয়ামে ঢুকতে না দেওয়া হয়। তাকে দেশের মাঠে কোনো ম্যাচের মিডিয়া অ্যাক্রেডিটেশন দেওয়া হবে না। আইসিসির কাছেও চিঠি পাঠিয়ে তাকে কালো তালিকাভুক্ত করা হবে। খেলোয়াড়দের বলা হবে যেন তার সঙ্গে সম্পর্ক না রাখে।
গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ঋদ্ধিমান সাহাকে ম্যাসেজে ওই সাংবাদিক লেখেন- আমার সঙ্গে একটা ইন্টারভিউ কর। তোমার জন্য ভালো হবে।
এক মিনিট পর আরও একটি ম্যাসেজে ওই সাংবাদিক লেখেন- ওরা (বোর্ড) একজন উইকেটকিপার বেছে নিয়েছে, যে সেরা উইকেটকিপার। তুমি ১১ জন সাংবাদিককে বেছে নেওয়ার চেষ্টা করছ, যারা আমার কাছে সেরা নয়। এমন কাউকে বেছে নাও, যে তোমায় সব থেকে বেশি সাহায্য করতে পারবে।
এরপর ওই সাংবাদিক ফোন করেন ঋদ্ধিমানকে। কিন্তু তিনি রিসিভ করেননি। এরপরই রীতিমতো ক্ষুব্ধ হয়ে ওই সাংবাদিক ঋদ্ধিমানকে লেখেন- তুমি ফোন করলে না। আমি কখনো তোমার ইন্টারভিউ নেব না। আমি একেবারেই অপমান মেনে নেই না এবং এটা আমি মনে রাখব। এটা তোমার করা উচিত হয়নি।
সেই ‘হুমকির’ স্ক্রিনশট সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট করলেও কোনো সাংবাদিকের নাম প্রকাশ করেননি ঋদ্ধিমান সাহা।
এ ঘটনায় বেশ কিছুদিন চুপ থাকার পর গত ৫ মার্চ টুইটারেই এক ভিডিও পোস্ট করেন বোরিয়া মজুমদার। সেখানে তিনি ঋদ্ধিমানের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নেওয়ার কথা বলেছেন- আমার আইনজীবীরা ঋদ্ধিমানের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করতে যাচ্ছেন।
বোরিয়া মজুমদার দাবি করেন, ঋদ্ধিমান হোয়াটসঅ্যাপে তাদের দুজনের বার্তা বিনিময়ের যে স্ক্রিনশট দিয়েছেন, সেগুলো বিকৃত করা। বার্তা পাঠানোর তারিখ মুছে দিয়ে ও ভিন্ন দিনের বার্তা এক করে মানুষকে ভুল বোঝানোর চেষ্টা করেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।