বিনোদন ডেস্ক : সোশ্যাল মিডিয়ার এই যুগে রাতারাতি স্টার হয়ে যাচ্ছে সবাই। বর্তমানে বীরভূমের বাদামকাকু ভুবন বাদ্যকর হয়েছেন দারুন বিখ্যাত। একসময় বাদাম বিক্রি করলেও এখন ঘুরে বেড়াচ্ছেন হিল্লী থেকে দিল্লী। তার গান বিরাট ভাইরাল হয় পড়শি দেশ বাংলাদেশেও। তার গানে কোমর দুলিয়েছেন তাবড় তাবড় সেলিব্রিটি সহ সাধারণ মানুষ। দুই বাংলাতেই সমান জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন তিনি। রীতিমত স্টার তিনি।
এখন একের পর এক গান রেকর্ড করে চলেছেন সোশ্যাল মিডিয়া স্টার। ষ্টার জলসার রিয়েলিটি শো ‘ইস্মার্ট জোড়ি’ তে এসে তিলোত্তমার বুকে সস্ত্রীক ঘুরে বেড়িয়েছেন হলুদ ট্যাক্সি করে। আবার সেই ভিডিও তুলে ধরা হয় স্টার জলসাতেই। বিভিন্ন নামি অভিনেতার চেয়ে কোনো অংশে কম জাননা বাদাম কাকু। তবে এবার ভুবন বাদ্যকরের জনপ্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিখ্যাত গায়ক মনোময় ভট্টাচার্য। এইসব গানকে অপসংস্কৃতি বলেই মনে করছেন তিনি।
এক সংবাদমাধ্যমের সাথে সাক্ষাৎকারে সঙ্গীতশিল্পী জানান যে, বর্তমানে চলছে কসমোপলিটানের যুগ। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়াতে মানুষ যা দেখতে পাচ্ছে তাই শুনে নিচ্ছে। কিন্তু মানুষের রুচি বোধ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। এছাড়া তিনি এও বলেছেন যে, ভুবন বাদ্যকরের গান শোনার জন্য যেমন মানুষ রয়েছে ঠিক তেমনি মনোময় ভট্টাচার্যর গান শোনার মানুষও রয়েছে।
মনোময় ভট্টাচার্য অবশ্য হতাশ হয়েছেন ভুবন বাদ্যকরকে ‘শিল্পী’ বলায়। তার মতে কাঁচা বাদামের মত গানের জন্য কাওকে শিল্পী তকমা দেওয়া কোনোভাবেই সম্ভব না। কিন্তু তিনি এই সিদ্ধান্ত সাধারণ মানুষের ওপর ছেড়ে দিয়েছেন। তার বক্তব্য তারাই ঠিক করুক কোনটা রুচিকর এবং কোনটা নয়।
তবে এই বর্ষীয়ান শিল্পীর মতে, বর্তমানে একটা গান ভাইরাল হলো কি না হলো চলে আসছে আরো একটি গান। তার মতে কাঁচা বাদামের জোরে ভুবন বাদ্যকরের মত মানুষ ভাইরাল হয়েছেন ঠিকই কিন্তু এইসমস্ত গান মুহূর্তের জন্য ভালো লাগে। আজ আছে কাল অন্য কোনো গান চলে আসবে, কিন্তু মানুষ তার মতো শিল্পীদের গানের সাথে ছিল, আর আজীবন থাকবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।