আন্তর্জাতিক ডেস্ক : খুদে একটি জলহস্তী দেখার জন্য থাইল্যান্ডের মানুষের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহের সৃষ্টি হয়েছে। দুই মাস বয়সী মেয়ে জলহস্তীটির নাম রাখা হয়েছে মো ডেং। পাতায়া শহরের পাশের একটি চিড়িয়াখানায় থাকা জলহস্তীর বাচ্চাটির ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
চলতি বছরের জুলাইয়ে জলহস্তীটি জন্ম নেওয়ার পর থেকে ‘খাও খেও উন্মুক্ত চিড়িয়াখানা’র দর্শনার্থী অন্তত দ্বিগুণ হয়েছে।
তবে দর্শনার্থীদের অনেকেই জলহস্তীটিকে বিরক্ত করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। জলহস্তীটি ঘুমিয়ে থাকার সময়ও অনেকে তার ওপর পানি ফেলে ঘুম ভাঙানোর চেষ্টা করছে।
চিড়িয়াখানাটির পরিচালক নারোঙ্গিত চোদচই এক বিবৃতিতে বলেন, ‘দর্শনার্থীদের এ ধরনের আচরণ শুধু নিষ্ঠুরই নয়, বিপজ্জনকও। এসব প্রাণীর নিরাপত্তা দেওয়া আমাদের দায়িত্ব। এটি নিশ্চিত করতে হবে যে প্রাণীগুলো নিরাপদ ও আরামদায়ক পরিবেশ পাবে।’
চিড়িয়াখানার পরিচালক জানান, এরই মধ্যে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে এবং কোনো দর্শনার্থী অপরাধমূলক আচরণ করলে জরিমানার ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছে। জলহস্তীটি জেগে থাকা অবস্থায় যে কেউ তাকে বিরক্ত না করে দেখতে পারবে বলেও জানান তিনি।
অনেকটা শূকরের মতো দেখতে এই জাতের জলহস্তী সচরাচর পশ্চিম আফ্রিকায় দেখা যায়।
ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচার (আইইউসিএন) এই প্রজাতির জলহস্তীকে বিপন্ন হিসেবে চিহ্নিত করেছে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, পৃথিবীতে এই জাতের জলহস্তীর সংখ্যা তিন হাজারের কম।
সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন লিখেছেন, ‘আমি এই শিশু রানিকে দেখে মুগ্ধ হয়েছি। কখন তাকে সামনাসামনি দেখতে পারব, সেই আশায় আছি।’ আরেকজন লিখেছেন, ‘মো ডেংকে দেখা ছাড়া পৃথিবীর আর কিছু দেখার কথা চিন্তা করতে পারছি না এই মুহূর্তে।’
ব্যাংকক থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরের চিড়িয়াখানাটিতে মো ডেং জন্ম নেওয়ার পর থেকে কর্তৃপক্ষ সোশ্যাল মিডিয়ায় মোট ১৫০টি পোস্ট করেছে। তার মধ্যে ১২৮টি পোস্ট করা হয়েছে জলহস্তী মো ডেংকে নিয়ে। মো ডেং এরই মধ্যে সে দেশে তারকা খেতাব পেয়ে গেছে। নামি-দামি কিছু ব্র্যান্ড তাদের প্রচারে মো ডেংয়ের ছবি ব্যবহার করছে। দেশি-বিদেশি বেশ কিছু সম্প্রচারমাধ্যমেও মো ডেংকে নিয়ে তৈরি প্রতিবেদন সম্প্রচারিত হয়েছে। রয়াল থাই দূতাবাস এরই মধ্যে মো ডেংকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দিয়ে প্রশংসায় ভাসিয়েছে। সূত্র : বিবিসি
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।