জুমবাংলা ডেস্ক : নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার চেয়ারম্যান ঘাটে ৪৫ মণ ওজনের দুটি শাপলা পাতা মাছ ৬৭ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। এ সময় স্থানীয় উৎসুক জনতা মাছ দুটি এক নজর দেখতে ভিড় জমান।
বুধবার (১১ অক্টোবর) বিকেলে মাছটি উপজেলার হরণী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ঘাটের মৎস্য আড়তে মাছটি বিক্রি করা হয়।
জানা যায়, বাশার মাঝি বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গেলে তার জালে ৩০ মণ ও ১৫ মণ ওজনের দুটি শাপলাপাতা মাছ ধরা পড়ে। বুধবার (১১ অক্টোবর) বিকেলে মাছটি চেয়ারম্যান ঘাটের মৎস্য আড়তে বিক্রি করার জন্য নিয়ে আসে। এ সময় নিলামে নাহিদ ব্যাপারি ৬৭ হাজার টাকা দিয়ে মাছটি কিনে নেন। মাছটিকে এক নজর দেখতে ভিড় জমান স্থানীয় উৎসুক জনতা।
স্থানীয় বাসিন্দা মিরাজ উদ্দিন বলেন, মাছ দুটির আকার এত বড় হওয়ায় মানুষ দেখতে ভিড় জমিয়েছে। নিলামে ৬৭ হাজার টাকা দাম উঠেছে।
বাশার মাঝি বলেন, সাগরে মাছ ধরতে গেলে মাঝে মাঝে কিছু শাপলা পাতা মাছ পাওয়া যায়। তবে এত বড় মাছ আমার জালে এই প্রথম এক সঙ্গে দুইটা ধরা পড়ল। আমি চেয়ারম্যান ঘাটের নাহিদ ব্যাপারির কাছে ৬৭ হাজার টাকায় মাছটি বিক্রি করেছি।
হাতিয়া উপজেলা মৎস্যজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ইসমাইল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, বাশার মাঝির ৩০ মণের শাপলা পাতা মাছের ৩৮ হাজার ৫০০ টাকায় এবং ১৫ মণ ওজনের শাপলা পাতা মাছটি ২৮ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি করেছে। মাছ দুইটা নাহিদ ব্যাপারি ক্রয় করেন।
মসজিদুল আল-আকসা মুসলিমদের কাছে কেন গুরুত্বপূর্ণ? জানুন জানা-অজানা ইতিহাস
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন বলেন, বিরল প্রজাতির এই সামুদ্রিক মাছটিকে স্থানীয়ভাবে হাউস মাছ বলা হলেও এর আসল নাম রে ফিন ফিস বা স্টিং ফিস। তবে এটি শাপলা পাতা মাছ নামেই পরিচিত। সমুদ্রে মাছটি পাওয়া যায়। বাজারে মাছটির চাহিদা রয়েছে। চট্রগ্রাম ও তার আশপাশে মাছটি বেশি পাওয়া গেলেও আমাদের নোয়াখালীর এদিকে কম পাওয়া যায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।