জুমবাংলা ডেস্ক : রমজানে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির মাধ্যমে দাম বাড়াতে ১ হাজার কনটেইনার ভর্তি ৪০ হাজার মেট্রিক টন আপেল-কমলা-মাল্টা এবং আঙুর চট্টগ্রাম বন্দরে ফেলে রেখেছেন আমদানিকারকরা। অথচ ডলার সংকট সত্বেও আট মাসে ১ হাজার ৮০০ কোটি টাকার আড়াই লাখ মেট্রিক টন ফল আমদানি হয়েছে। এ অবস্থায় রেফার কনটেইনারে আনা এসব ফল দ্রুত ডেলিভারি নিতে আমদানিকারকদের চিঠি দিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থ বছরের গত আট মাসে ১ লাখ ৪ হাজার মেট্রিক টন আপেল, ৫৮ হাজার ২৫৮ মেট্রিক টন কমলা, ৫৫ হাজার ৮৩৫ মেট্রিক টন মাল্টা এবং ২৯ হাজার ৪৭০ মেট্রিক টন আঙ্গুর আমদানি হয়েছে। দেশীয় কমলার স্বাদ ভালো হওয়ায় বিদেশি কমলা কিছুটা আমদানি কম হলেও বাকি অন্যান্য ফল আমদানি হয়েছে গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের উপ কমিশনার কাজী ইরাজ ইশতিয়াক বলেন, আমদানি তথ্য অনুযায়ী বাজারে সংকট হওয়ার কথা নয়। তবে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করতে ইচ্ছে করে আমদানিকৃত ফল কনটেইনারে যাতে কেউ ফেলে রাখতে না পারে সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে।
ডলার সংকটের মাঝে চাহিদার বিপরীতে অতিরিক্ত আমদানি সত্বেও বাজারে কোনোভাবেই ফলের দাম কমছে না। বরং রোজা শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির সুযোগে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে এসব বিদেশি ফলের দাম। অথচ চট্টগ্রাম বন্দরে ফল বোঝাই শত শত রেফার কনটেইনার পড়ে আছে। এ অবস্থায় এসব ফল দ্রুত ডেলিভারি নিতে ব্যবসায়ীদের চিঠি দিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, বন্দরে ফল ফেলে রেখে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির অভিযোগ মানতে নারাজ ব্যবসায়ীরা। এবার দাম বাড়ানোর অজুহাত হিসাবে দেখাচ্ছেন লোহিত সাগরে হুতি বিদ্রোহীদের হামলায় জাহাজ চলাচলে বিঘ্ন ঘটাকে। অথচ বাংলাদেশে দক্ষিণ আফ্রিকার পাশাপাশি চীন ও মিশর থেকে আপেল, কমলা ও মাল্টা সবচেয়ে বেশি আমদানি হয়।
বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুট ইম্পোটার্স অ্যাসোয়িশেনের সাংগঠনিক সম্পাদক তৌহিদুল আলম বলেন, কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে কোনো আমদানিকারক ফল বিক্রি করছে না। চাহিদা অনুযায়ীই বাজারে ফল সরবরাহ করা হচ্ছে।
বর্তমানে পাইকারি পর্যায়ে ২০ কেজির এক ক্যারেট আপেল ৪ হাজার ৭০০ টাকা, কমলা ৪ হাজার টাকা, ১৫ কেজির এক ক্যারেট মাল্টা ৩ হাজার ২০০ টাকা এবং ২২ কেজির আঙ্গুর সাড়ে ৬ হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে খুচরা পর্যায়ে এসব ফলের দাম আরও বেশি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।