সোয়াদ সাদমান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) রেলওয়ে স্টেশনের পশ্চিম পাশে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের নামফলকে শাখা ছাত্রশিবির তাদের চিকা মেরেছে। যাতে লেখা রয়েছে, “চতুর্দিকে স্বৈরাচার কবে হবে বহিষ্কার– ছাত্র শিবির”।
এ ঘটনায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে একই সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে সমালোচনার ঝড়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এই ঘটনাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ও সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলের প্রতি অবমাননা বলে মনে করছেন। তবে এতো সমালোচনার পরেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনও কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থী মোঃ এনামুল হক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি প্রাতিষ্ঠানিক জায়গায় এভাবে রাজনৈতিক প্রচারণা করা অত্যন্ত দুঃখজনক। স্টেশনের নামফলকটি কেবল একটি চিহ্ন নয়, এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানও বহন করে।
বিশ্ববিদ্যালয়টির আরেক শিক্ষার্থী মোঃ রোকনুদ্দিন বলেন, চবি রেলস্টেশনে নামফলক দেখে প্রথম চেনা যায় এটাই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। এখন যদি সেখানে রাজনৈতিক স্লোগান জুড়ে দেওয়া হয়, তাহলে বাইরের মানুষের কাছে আমরা কী বার্তা দিচ্ছি?
বিশ্ববিদ্যালয়টির আরেক শিক্ষার্থী মোঃ জাবেদ তার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দেয়ালে চিকা মারার জন্য তো পুরো ক্যাম্পাসেই জায়গা আছে। তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম মুছে দিয়ে শিবিরকে সেখানে চিকা দিতে হলো কেন? এটা খুবই স্পষ্টভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষার্থী ইয়াসিন আরাফাত বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি কখনো বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতি বিরোধী বা বিশ্ববিদ্যালয়ের মান ক্ষুন্ন হয় এমন ধরনের হবেনা। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের নামের ফলকে কোনো রাজনৈতিক সংগঠনের এরকম দখলদারী আচরণ সবাইকে আশাহত করে এবং সুস্থ রাজনৈতিক পরিবেশকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র শিবিরের সভাপতি মুহাম্মদ ইব্রাহীম বলেন,” ক্যাম্পাসে দেয়াল লেখনীর জন্য আমাদের একটি প্রোগ্রাম চলমান, সেই চলমান প্রোগ্রামের সময় ভুলক্রমে সেই ফলকে লেখা হয়ে গিয়েছে। খুব শীঘ্রই লেখনীটি মুছে ফেলা হবে তবে প্রশাসন যেকোনো সময় লেখাটি মুছে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম লিখার এখতিয়ার রাখেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।