জুমবাংলা ডেস্ক : ঠাকুরগাঁওয়ে চলতি মৌসুমে শসার ফলন ভালো হলেও হঠাৎ দাম কমাতে হতাশ হয়ে পড়েছেন কৃষকেরা। যেই শসা কিছু দিন আগেও পাইকাররা ক্ষেত থেকে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে কিনেছেন এখন তারা ২ টাকা কেজি দরেও কিনতে রাজি হচ্ছেন না।
ব্যবসায়ীদের দাবি, চাহিদার তুলনায় উৎপাদন বেশি হওয়ায় ও মোকামে দাম না থাকায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রচুর শসার আবাদ হয়। স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে অন্য জেলায় সরবরাহ করা হয় এখানকার শসা। বিগত কয়েক বছর ধরে স্থানীয় পাইকাররা কৃষকের ক্ষেত থেকে শসা কিনে বিভিন্ন জেলায় পাঠান। কিন্তু এ বছর ন্যায্য দাম না পেয়ে লোকসানের আশঙ্কা করছেন কৃষকেরা।
বুধবার সদর উপজেলার রাজাগাঁও ইউনিয়নের উত্তর বঠিনা গ্রামে কথা হয় শসা চাষি মো: আবুর সাথে। তিনি বলেন, এ বছর তিনি এক একর জমিতে শসার আবাদ করেছেন। খরচ হয়েছে দেড় লাখ টাকা। এখন যে দাম, তাতে শ্রমিকদের মজুরি খরচই উঠছে না।
তার অভিযোগ স্থানীয় শসা ব্যাবসায়ীদের সিন্ডিকেটই শসার দাম কমে যাওয়ার মূল কারণ। তাদের কারণে বাইরের ব্যাবসায়ীরা এখানে আসতে পারছে না।
একই গ্রামের চাষি হুমায়ুন আজাদ বলেন, ৫০ কেজি ওজনের একেকটি শসার বস্তার দাম ১০০ টাকাও মিলছে না। শসার ফলন ভালো হয়েছে ঠিকই। কিন্তু ছয় বস্তা বিক্রি করেও এক কেজি গরুর মাংস কেনার সাধ্য নেই আমাদের।
হরিদাস নামের আরেক কৃষক বলেন, প্রতি রমজান মাসে শসার দাম চড়া থাকলেও এবার উল্টো চিত্র।
অনিল কুমার, শামসুল ইসলামসহ কয়েকজন পাইকারি শসা ব্যবসায়ী বলেন, কয়েক দিন আগেই আমরা ক্ষেত থেকে প্রতি কেজি শসা ৫০ টাকা দরে কিনেছি। সেই শসা এখন দুই টাকা থেকে আড়াই টাকা করে কিনতে হচ্ছে।
কারণ হিসেবে তারা বলেন, চাষি শসা আবাদ করেছে বেশি তাই আমদানি বেশি কিন্তু চাহিদা কম। আবাদ কম করলে কৃষকেরা ভালো দাম পেতো।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার কৃষি অফিসার কৃষ্ণ রায় বলেন, রবি মৌসুমে ৭৫ হেক্টর জমিতে ১ হাজার ৩০৭ টন এবং খরিপ মৌসুমে ৫০ হেক্টর জমিতে শসার ফলন ৯৪০ টন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
তবে, শসার দাম হঠাৎ কমাতে আগামী মৌসুমে চাষের পরিমাণ কমে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।