জুমবাংলা ডেস্ক : পুকুরে চাষ করা মাছকে বিষাক্ত রঙ ও কেমিক্যাল দিয়ে বিশেষ রঙ করে নদীর মাছ বলে বিক্রি করতেন তারেক (২০)। তিনি দীর্ঘ দিন ধরেই মেঘনা তীরবর্তী বিশনন্দি এলাকা থেকে আড়াইহাজার উপজেলা সদরে এসে কৌশলে এই প্রতারণা করে আসছিলেন।
সোমবার (১৮ জুলাই) দুপুরে হাতেনাতে ধরা পড়লে আড়াইহাজারের ইউএনও মো. রফিকুল ইসলাম এই প্রতারক মাছ বিক্রেতাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক মাসের কারাদণ্ড দেন।
ইউএনও বলেন, প্রতারক মেঘনা নদীর ওপারের বাঞ্ছারামপুর এলাকার বাহেরচর গ্রামের মো. মজনু মিয়ার ছেলে। প্রতিদিন তারেক বাঞ্ছারামপুর ও বিশনন্দির বিভিন্ন এলাকা থেকে পুকুরের চাষ করা মাছ সংগ্রহ করে। এরপর সেই মাছকে নদীর চাষ করা তাজা মাছ সাজাতে ব্যবহার করে বিষাক্ত রঙ ও কেমিক্যাল। সচরাচর অফিস ফেরত কিংবা বাসস্ট্যান্ডের লোকজন মাছ বিক্রেতার এই চালাকি ধরতে পারে না। ওদের রঙ করা মাছগুলো এক ঝলক দেখলেই মনে হয় যেনো নদী থেকে ধরে আনা তরতাজা মাছ।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘ দিন ধরেই তারেকসহ আরও কয়েকজন মাছ বিক্রেতা আড়াইহাজার উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে ও গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে এই প্রতারণা করে আসছিলেন। আজ উপজেলা সদর চৌরাস্তায় আসার পরই তারেককে দেখে ইউএনও অফিসে খবর দেয় স্থানীয় লোকজন।
ইউএনও রফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থলে এসে তারেককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি তার অপরাধ স্বীকার করেন। এসময় উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাহমুদা আক্তারও উপস্থিত ছিলেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।