জুমবাংলা ডেস্ক : বস্তাপ্রতি খরচ ৬০-৭০ টাকা। কিন্তু আয় ৫০০ টাকার বেশি। উত্তরাঞ্চলে সফলতার পর এবার প্রথমবারের মতো বর্ষা মৌসুমে সমতলে বস্তায় আদা চাষ করলেন চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড ও মীরসরাইয়ের কৃষকরা। আদার নতুন এই চাষ পদ্ধতি স্বপ্ন দেখাচ্ছে তাদের। কৃষি বিভাগ বলছে, আগামী বছর আরও বড় পরিসরে চাষের পরিকল্পনা করছে তারা।
সিমেন্টের ফেলে দেওয়া ছোট ছোট বস্তায় গত এপ্রিলে লাগানো হয় আদার কন্ধ। চার মাসের মাথায় সেসব কন্ধ রূপ নিয়েছে ছোট ছোট ঝোপে। আর ঝোপের নিচ থেকে উঁকি দিচ্ছে আদার ফলন।
মূলত ছায়াযুক্ত-শুকনো স্থানে ভালো জন্মায় আদা। তাই বসতবাড়ির আশপাশে বিভিন্ন গাছ-গাছালির নিচের জমিতে চলছে চাষাবাদ। মাটি, সার ও বীজ মিলে প্রতি বস্তায় খরচ মাত্র ৬০ টাকা। একেকটি বস্তা থেকে দুই থেকে আড়াই কেজি আদা পাওয়ার আশায় কৃষক। যার বর্তমান বাজার মূল্য অন্তত ৫০০ টাকা।
কৃষক শফিকুল ইসলাম জানান, “আমি বস্তায় আদা চাষ করছি। বস্তায় আদা চাষ খুব সহজ। এতে খরচও কম হয়। এই পদ্ধতিতে আদা চাষ খুব লাভজনক। বস্তা, আদা, সার এবং পরিচর্যা মিলিয়ে বস্তা প্রতি খরচ হয় মাত্র ৬০-৭০ টাকা।”।
মসলা জাতীয় পণ্য উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষকদের পাহাড়ি উন্নত জাতের বীজ দিচ্ছে কৃষি বিভাগ। মীরসরাই ও সীতাকুণ্ডে এক হাজার ছোট বস্তায় লাগানো হয়েছে আদা।
“বস্তায় আদা চাষ করা খুব সহজ। এই পদ্ধতিতে গাছে মাটিবাহিত রোগ অনেক কম হয়। আর কোনো সমস্যা হলে বস্তা এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় সরিয়ে নেওয়া যায়। বস্তা পদ্ধতিতে বাড়ির ছাদে, উঠানে বা বাড়ির আশেপাশের খালি জায়গায় চাষ করা যায়”- বলেন চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ।
অন্যান্য ফসলের তুলনায় মসলা জাতীয় ফসলের আবাদ অনেক কম। জলবায়ু পরিবর্তন, কৃষি জমি কমে যাওয়ার মতো পরিস্থিতিতে এ ধরনের চাষ পদ্ধতি অর্থনীতির জন্য ভালো খবর।
এ ব্যাপারে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক মুকুল চন্দ্র রায় বলেন, “বস্তায় আদা চাষ করলে প্রাকৃতিক দূর্যোগে নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে না। একবার আদা তুলে ফেললে সেই বস্তায় কোনো সার দেওয়া ছাড়া আবার আদা চাষ করা যায়। এতে খরচ একেবারে কমে যায়”।
দেশে বছরে আদার চাহিদা প্রায় ৩ লাখ ৭১ হাজার ৩৩৫ টন। গত অর্থবছরে উৎপাদন হয় ২ লাখ ৪৫ হাজার ৬০০ টন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।