জুমবাংলা ডেস্ক : বহুল আলোচিত ও সমালোচিত ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮’-এর স্থলে নতুন ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন ২০২৩’ প্রতিস্থাপনের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের দীর্ঘদিনের প্রতিশ্রুতিকে স্বাগত জানিয়েছে পেন বাংলাদেশ। একই সঙ্গে সাইবার নিরাপত্তা আইনটি আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বজায় রেখে প্রণয়নের আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।
রবিবার (২০ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো সংগঠনের এক বিবৃতিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন ২০২৩’-এর খসড়া ইতোমধ্যে অনুমোদন হয়েছে। তবে নতুন আইনে প্রস্তাবিত পরিবর্তনগুলোকে যথাযথ মনে করলেও বাকস্বাধীনতা রক্ষার জন্য পরিবর্তনগুলো যথেষ্ট নয় বলে উদ্বেগ জানিয়েছে পেন বাংলাদেশ।
সংগঠনটি মনে করে, নতুন সাইবার নিরাপত্তা আইনে ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের’ অনেক বিতর্কিত ধারা একইভাবে সন্নিবেশিত করা হয়েছে। জামিন অযোগ্য অপরাধের সংখ্যা ১৪টি থেকে ৬টিতে নামিয়ে আনাকে ইতিবাচক হিসেবে চিহ্নিত করে সংগঠনটি বলছে, শুধু জরিমানা ধার্য করে কিছু সাজা প্রতিস্থাপনও আইনটির ইতিবাচক দিক। কিন্তু অপরাধের সংজ্ঞার জায়গাগুলো এখনও অস্পষ্ট থাকায় মিথ্যা বা উদ্দেশ্যমূলক অভিযোগের শঙ্কা রয়ে গেছে। পেন বাংলাদেশ মনে করে, প্রস্তাবিত আইনে অপরাধের সংজ্ঞা পরিবর্তন না করায় আইনটি অপব্যবহারের অবাধ সুযোগ রয়েছে।
পেন বাংলাদেশ আইনটি চূড়ান্ত করে অনুমোদনের জন্য সংসদে পাঠানোর আগে অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, প্রস্তাবিত আইনে সাইবার প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে মানহানিকর অপরাধের জন্য শাস্তি ২৫ লাখ টাকা জরিমানা এবং এই ধারায় কারাদণ্ড বাতিল করা হয়েছে। এই পরিবর্তন যদিও আপাতদৃষ্টিতে ইতিবাচক বলে মনে হচ্ছে, তবে জরিমানার পরিমাণ বেশিরভাগ বাংলাদেশি সাংবাদিকদের জন্য এবং অপেক্ষাকৃত ছোট মিডিয়া আউটলেটের জন্য অনেক বেশি।
পেন বাংলাদেশের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৪৩ ধারায় পুলিশকে কোনও ব্যক্তির বাড়িতে প্রবেশ, অফিসে তল্লাশি, ব্যক্তির ব্যবহার্য কম্পিউটার, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক, সার্ভার এবং ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম জব্দ করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। কোনও পরোয়ানা ছাড়াই সন্দেহবশত পুলিশকে যে কাউকে গ্রেফতারের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এটি পুলিশকে ‘ম্যাজিস্ট্রিয়াল ক্ষমতা’ প্রদানের সমতুল্য। নতুন আইনে এই ধারাটি যদি থেকে যায়, তা অন্য ইতিবাচক পদক্ষেপকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে।
বিবৃতিতে পেন বাংলাদেশ বলেছে, সাজা কমানো এবং জামিনযোগ্য ধারা বৃদ্ধি এই আইনের ইতিবাচক দিক। তবে এর মাধ্যমে মৌলিক মানবাধিকার রক্ষা হয় না। নাম পরিবর্তন ছাড়া ডিএসএ এবং সাইবার নিরাপত্তা আইনের চরিত্রের মাঝে দৃশ্যমান কোনও পার্থক্য না থাকলে সেটি অর্থহীন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।