বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : সাইবার অপরাধ এখন ৭০০ কোটি ডলারের শিল্প। সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে এমনই মন্তব্য করে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনস (এফবিআই)। সম্প্রতি প্রকাশিত বার্ষিক ইন্টারনেট ক্রাইম রিপোর্টে এফবিআই জানায়, ২০২১ সালে আমেরিকানদের কাছ থেকে ৬৯০ কোটি ডলার হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারক চক্র। দুই বছর আগেও যেখানে এ অংকের পরিমাণ ছিল ২০০ কোটি ডলার। খবর টেক রাডার ও সি-নেট।
এফবিআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২১ সালে মোট ৮ লাখ ৪৭ হাজার ৩৭৬টি ইন্টারনেট অপরাধের অভিযোগ জমা পড়েছে। ২০২০ সালের তুলনায় যা ৭ শতাংশ বেড়েছে। তবে করোনাপূর্ব ২০১৯ সালের তুলনায় তা বেড়েছে ৮১ শতাংশ। তবে সাইবার হামলা এবং তাতে অর্থহানির পরিমাণ আরো বেশি হবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
গত দুই বছরে সম্ভবত কভিড-১৯ মহামারীর জন্য ইন্টারনেট অপরাধ বেশি বেড়েছে। এর সম্ভাব্য কারণ হতে পারে ‘বাসা থেকে কাজ’ বেড়ে যাওয়া এবং ভার্চুয়াল মিটিং। ওই সময়ে শীর্ষ তিন সাইবার অপরাধ ছিল ফিশিং স্ক্যাম, নন-পেমেন্ট/নন-ডেলিভারি ও ব্যক্তিগত ডাটা লঙ্ঘন।
বিশ্বের বেশির ভাগ দেশ এখন কোভিড-১৯ কড়াকড়ি ও বিধি-নিষেধ শিথিল করেছে। সে প্রবণতার সঙ্গে অমিল রেখেই ইন্টারনেটে অপরাধমূলক কার্যক্রম, বিশেষ করে ফিশিং ও ডাটা লঙ্ঘনের ঘটনা ২০২১ সালে অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। এফবিআই সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, এটি সামনে আরো বাড়তে পারে। ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে ২০২১ সালেই প্রায় ৩২ হাজার ৪০০ অভিযোগ এসেছে। আগামীতে এটি আরো বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
২০২০ সালে এফবিআইয়ের কাছে সাড়ে ২৮ হাজারের বেশি ইন্টারনেট অপরাধের অভিযোগ এসেছে, যেগুলোর বেশির ভাগই কভিড-১৯ সম্পর্কিত। যদিও ২০২১ সালের প্রতিবেদনে কভিড-১৯ সম্পর্কিত ইন্টারনেট অপরাধের কোনো বিস্তারিত তথ্য উল্লেখ করেনি এফবিআই।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।